প্রবাদ সত্যি হল বানভাসি কাজিরাঙায়, প্রাণ বাঁচাতে ছাগলের ঘরে আশ্রয় নিল বাঘ, দেখুন সেই ভিডিও

  • আরও অবনতি অসমের বন্যা পরিস্থিতির
  • ৯৫ শতাংশ জলের তলায় কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের
  • যার ফলে বন্যপ্রাণ এখন উঁচু জায়গায় আশ্রয় খুঁজছে
  • প্রাণ বাঁচাতে ছাগলের কাছে গিয়ে আশ্রয় নিল একটি বাঘ

Asianet News Bangla | Published : Jul 14, 2020 8:22 AM IST / Updated: Jul 14 2020, 01:59 PM IST

বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে অসমে। প্রাণঘাতী এই বন্যায় সবচেয়ে সংকটে রয়েছে প্রাণীকূল। বন্যায় কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের প্রায় ৯৫  শতাংশ জলের তলায় ডুবে গিয়েছে। যার ফলে কালিরাঙার বন্যপ্রাণীর এখন উঁচু জায়গার আশ্রয় খুঁজছে। আর এমনি অবস্থায় এক বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল কাজিরাঙা। প্রাণ বাঁচাতে ছাগলের ঘরে আশ্রয় নিল একটি বাঘ।

আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য খুলে গেল ভূস্বর্গ কাশ্মীরের দরজা, তবে মেনে চলতে হবে এই শর্তগুলি

এতদিন আমরা প্রবাদ শুনে এসেছি, বিপদ এলে বাঘে-ছাগে এক ঘাটে জল খায়। প্রবাদ আক্ষরিক অর্থেই সত্যি হল বানভাসি কাজিরাঙায়। অবশ্য ঘাটে জল খেতে দেখা যায়নি বাঘ ও ছাগলকে। বরং জল থেকে বাঁচতে  ছাগলের আস্তানয় আশ্রয় নিয়েছে  রয়্যাল বেঙ্গল।

বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, অগরাতলি বনাঞ্চল লাগোয়া কান্ধুলিমারি গ্রামেও জল ঢুকেছে। সেখানকার বাসিন্দা কমল শর্মা  ছাগল রাখার জায়গায় গিয়ে চমকে ওঠেন। দেখেন ছাগলের আস্তানায়  প্রাণপণে গা-মাথা ঢুকিয়ে কুঁকড়ে রয়েছে খোদ বনের রাজা।

আরও পড়ুন: করোনা বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই ফুঁসে চলেছে ব্রহ্মপুত্র, অসমের পর এবার বন্যায় ভাসছে সিকিমও

কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ১৫ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ছাগলের ঘরটিও বন্যার জলে ডুবে রয়েছে। এজন্য বাঘের শুধু উপরের দিক দেখা গেছে, বাকি অংশ জলে। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পক্ষ থেকে ট্যুইটারে পোস্ট করে বলা হয়েছে, বন্যা থেকে বাঁচতে একটি বাঘ কান্ধুলিমারি গ্রামে ছাগলের ঘরে প্রবেশ করেছে। মানুষ এবং বাঘের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

 

গ্রামে বাঘ আশ্রয় নেওয়ার খবর ছাড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর দেওয়া হয় বনকর্মীদের ও সিডব্লুআরসিতে। তাঁরা বাঘটির উপরে নজর রাখতে থাকেন। জনতাকে আতঙ্কিত হতে নিষেধ করা হয়। বাঘটি যাতে নিজের মতো করে গ্রামে বিশ্রাম নিতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হয়। কোনও গ্রামবাসী যাকে বাঘটিকে বিরক্ত না করে, সেই দিকে খেয়াল রাখেন বন আধিকারিকরা। পরে গ্রাম থেকে বেরিয়ে জঙ্গলে চলে যায় বাঘটি।

বর্তমানে অসমের ২৭টি জেলা বন্যাক্রান্ত। ২১ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ জনের বেশি। প্রতিবারই অসমে বন্যায় ব্যাপক প্রভাব পড়ে কাজিরাঙার ন্যাশনাল ফরেস্টের উপর। এবারও সেরা ধারা অব্যাহত। এই বন্যার জেরে এবার এখনও পর্যন্ত বহু প্রাণীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, অন্তত ৪৭টি প্রাণী এবারের বন্যায় মারা গিয়েছে। যার মধ্যে ৪১টি হগ ডিয়ার রয়েছে। একইসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে শিংওয়ালা গণ্ডার ও বুনো ভালুকেরও। 

Share this article
click me!