Ration System: জুন মাস থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ফ্রি-এর রেশন পরিষেবা! কারা আর রেশন পাবেন না?

Published : May 28, 2025, 10:39 AM ISTUpdated : May 28, 2025, 02:58 PM IST
dehradun ration card update free ration delay pos machine data collection

সংক্ষিপ্ত

Ration System: সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে চালু হয় রাষ্ট্রীয় খাদ্য সুরক্ষা যোজনা। যার মাধ্যমে সমস্ত রেশন কার্ড (Ration Card) গ্রাহকদের বিনামূল্যে বা ফ্রি-তে রেশন সামগ্রী দেওয়া হয়ে থাকে। 

Ration System: প্রতিমাসে প্রচুর মানুষ উপকৃত হয়ে থাকেন এই রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে। তাছাড়া একাধিক রাজ্যে দুয়ারে রেশন পরিষেবা চালু করার পর থেকেই, প্রচুর মানুষ বাড়িতে বসেই বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী পেয়ে থাকেন (rationing system in India year)।

কিন্তু রেশন সামগ্রী জোগানে ব্যাপক সমস্যার জেরে, দুয়ারে রেশন পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল একাধিক খাদ্যদপ্তর (ration card system in India)। 

কারা কারা আর ফ্রি-তে রেশন এবং দুয়ারে রেশন পাবেন না?

অন্ধ্রপ্রদেশে আগামী ১ জুন থেকে দুয়ারে রেশন ব্যবস্থা বন্ধ হতে চলেছে। গত ২০ মে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, শুধুমাত্র শারীরিকভাবে অক্ষম এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব নাগরিকরাই এই সুবিধা পাবেন। বাকি সব গ্রাহকদের প্রাপ্য চাল এবং গম নিতে গেলে নির্দিষ্ট রেশন দোকানে যেতে হবে। এই সিদ্ধান্ত দিল্লীর খাদ্য এবং গণবণ্টন মন্ত্রককেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে খোদ দিল্লী সরকারও এই ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে এই সিদ্ধান্তের জেরে ফ্রি-এর রেশন গ্রাহকদের মধ্যে রীতিমতো উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ, বাড়িতে বসে রেশন পৌঁছানোর সুবিধা বন্ধ হলে আদতে অনেকেরই অসুবিধা হবে।

কেন বন্ধ করা হল?

অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দুয়ারে রেশন ব্যবস্থা চালাতে বছরে ১,৮০১ কোটি টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে। এই খরচের মধ্যে খাদ্যশস্য লিকেজ, হিসাবে গরমিল, ফ্রি রেশন বিতরণের গাড়ি মাসের অর্ধেক সময় অব্যবহৃত থাকা এবং অতিরিক্ত সংরক্ষণের খরচও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সরকারের ৬ পাতার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই বাড়তি খরচ এবং বিতরণে অদক্ষতার কারণে ব্যবস্থাটি বন্ধ করা হচ্ছে। এই সমস্যাগুলি দূর করতে রেশন দোকানের মাধ্যমে বিতরণ ব্যবস্থাকে আরও কঠোর এবং স্বচ্ছ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে দুয়ারে রেশন কি চালু থাকবে?

পশ্চিমবঙ্গের রেশন কার্ড গ্রাহককদের দুয়ারে রেশন ব্যবস্থা অবশ্য বন্ধ হচ্ছে না এবং এটি চালু থাকছে। গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, এই প্রকল্প চালু করা হয়। যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় রেশন (Free ration) পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, যাতে রেশনিং ব্যবস্থা আরও সহজলভ্য করা যায়। রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের জন্য বছরে ৪০৮ কোটি টাকা বাড়তি খরচ করছে। যা জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে ৩,৩০,৮৮৫ মেট্রিক টন চাল-গম বিতরণের জন্যও ব্যয় করা হচ্ছে। 

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প চালু থাকায় রাজ্যের রেশন কার্ড গ্রাহকরা এখনও দোরগোড়ায় রেশন পাওয়ার সুবিধা ভোগ করবেন। সুতরাং, পশ্চিমবঙ্গে প্রতিমাসে যেভাবে গ্রাহকরা রেশন পেতেন, তেমনই পাবেন।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

ভারতের এয়ারলাইনের ইতিহাসে বড় বিপর্যয়! ইন্ডিগো একদিনে তার ৪০০ ফ্লাইট বাতিল করেছে
কেন ২০ ডিসেম্বর মোদী নদিয়ার রাণাঘাটে জনসভা করবেন? জানালেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়