বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙায় 'কলঙ্কিত' কলকাতা! কী বলছেন বাংলার বিদ্বজনেরা

swaralipi dasgupta |  
Published : May 15, 2019, 09:14 AM ISTUpdated : May 15, 2019, 10:06 AM IST
বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙায় 'কলঙ্কিত' কলকাতা! কী বলছেন বাংলার বিদ্বজনেরা

সংক্ষিপ্ত

বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির রোড শো ঘিরে ধুন্ধুমার  চলল কলকাতায়। সেই তাণ্ডবের চোটে ভাঙা হল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি। মূর্তি ভাঙার অভিযোগের তীর গেরুয়া বাহিনীর দিকে। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, অমিত শাহের রোড শো থেকেই বিদ্যাসাগর কলেজে ভাঙচুর চালায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। 

বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতির রোড-শো ঘিরে ধুন্ধুমার  চলল কলকাতায়। সেই তাণ্ডবের চোটে ভাঙা হল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি। মূর্তি ভাঙার অভিযোগের তির গেরুয়া বাহিনীর দিকে। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, অমিত শাহের রোড-শো থেকেই বিদ্যাসাগর কলেজে ভাঙচুর চালায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। দরজা-জানলার সঙ্গে তারা  ভেঙে গুড়িয়ে দেয় বিদ্যাসাগরের সাদা মূর্তিটাও। 

অন্যদিকে আবার বিজেপির অভিযোগ, অমিত শাহের রোড শো-এ বাইরে থেকে ইট-পাথর ছুড়ছিল তৃণমূল। রোড-শো-এর আগেই বিজেপির পোস্টারও ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তাদের দিকে। কিন্তু ‌‌ মূর্তি ভাঙার অভিযোগ সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা চলছে। 

সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, 'বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা লজ্জ্বাজনক ঘটনা। কলেজেও ভাঙচুর হয়েছে দেখলাম। এটা কী ধরনের ব্যাপার! কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। যেই ভাঙুক, তা আমাদের জন্য অত্যন্ত মর্মান্তিক বিষয়।'

বিদ্য়াসাগরের মূর্তি টুকরো করায় স্তব্ধ কবি শঙ্খ ঘোষও। তিনি বলছেন, 'কথা বলার আর কোনও ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। অধঃপতনের আর কোন স্তর পর্যন্ত দেখতে হবে জানি না।' 

কলেজের মধ্যে কেন বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হলো এই নিয়ে বাকরুদ্ধ বহু বাঙালি। এদের অধিকাংশের মতামত, বাংলার জন্য এটি কালো দিন। সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কৃষ্ণা বসু বলছেন, 'বিদ্যাসাগর মেয়েদের জন্য যা করেছেন, তার জন্য প্রতিদিন সকালে উঠে তাঁকে স্মরণ করা উচিত। তাঁর মূর্তি ভাঙা হল। তবে আমি মনে করি তাতে বিদ্যাসাগরের কিছুই যায় আসে না। এভাবে মণীষীদের সম্মানহানি করা যায় না।' 

অসীম চট্টোপাধ্যায় ঘটনায় দুই দলকে দোষী বলে মনে করছেন। তিনি বলছেন, 'তৃণমূল ও বিজেপি দু‍জনেই নৈরাজ্যের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এ রাজ্যে আইনের শাসন চলছে না। চলছে মর্জির শাসন। তৃণমূল নেত্রী নিজে বিজেপির এই নৈরাজ্যকে ডেকে আনছেন।' 

এদিন সারা কলকাতা জুড়ে এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য় ছড়ায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, ওরা বাংলার হেরিটেজ ও বাংলার মণীষীর গায়ে হাত দিয়েছে। আমার থেকে ভয়ঙ্কর কেউ হবে না। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

বড় খবর! জেনে নিন কবে থেকে কার্যকর হচ্ছে অষ্টম বেতন কমিশন, সময়সীমার কথা বলল কেন্দ্র
LIVE NEWS UPDATE: বাবরি মসজিদের জন্য কোটি কোটি টাকা হুমায়ুন কবীরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, তলব করল SBI