৩৬ টি রাফাল ফাইটার জেট বিমান ক্রয়ের ক্ষেত্রে ফরাসি প্রতিরক্ষা সংস্থা ডাসল্ট এভিয়েশন ও এমবিডিএকে যে 'ব্যতিক্রমী ও অভূতপূর্ব' ছাড় দেওয়া হয়েছিল, তা বকলমে মেনে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্র এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্য়মের কাছে দাবি করেছে, রাফাল চুক্তির সময় প্রতিরক্ষা ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তির ধারাগুলি পাল্টে ফেলা হয় ঠিকই, তবে তা করা হয়েছিল দেশেরই স্বার্থে।
৩৬ টি রাফাল ফাইটার জেট বিমান ক্রয়ের ক্ষেত্রে ফরাসি প্রতিরক্ষা সংস্থা ডাসল্ট এভিয়েশন ও এমবিডিএকে যে 'ব্যতিক্রমী ও অভূতপূর্ব' ছাড় দেওয়া হয়েছিল, তা বকলমে মেনে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্র এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্য়মের কাছে দাবি করেছে, রাফাল চুক্তির সময় প্রতিরক্ষা ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তির ধারাগুলি পাল্টে ফেলা হয় ঠিকই, তবে তা করা হয়েছিল দেশেরই স্বার্থে।
ওই সরকারি সূত্রের দাবি, এই সংক্রান্ত ধারাগুলি অত্যন্ত কঠোর ছিল। 'অফসেট অবলিগেশন'-এর এফেক্টিভ ডিসচার্জ বা বাড়তি চুক্তির সংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছিল। তাই রাফাল চুক্তির আগে প্রতিরক্ষা ক্রয় সংক্রান্ত স্ট্যান্ডার্ড চুক্তিপত্রের কয়েকটি ধারা বদলে দেওয়া হয়। যার ফলে দেশের লাভই হয়েছে।
দিন কয়েক আগে অপর এক সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, দুটি ফরাসী সংস্থাকেই ভারতের 'ডিফেন্স প্রোকিওরমেন্ট প্রসিডিওর ২০১৩'-এর স্বাভাবিক চুক্তির ধারাগুলি মেনে চলা থেকে ছাড় দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেটের প্রতিরক্ষা কমিটি।
এছাড়া, 'অসঙ্গত প্রভাব খাটানো' এবং 'এজেন্ট / এজেন্সি কমিশন' ব্যবহারে নিষেদ্ধাজ্ঞা সংক্রান্ত ডিপিপি ২০১৩-এর আরও দুটি ধারাও রাফাল চুক্তির ঠিক আগেই সরিয়ে দিয়েছিল ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল - এরকমই অভিযোগ।
এই প্রতিবেদন নিয়ে সরকারকে নিশানা করেছিলেন সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিও।