ভারতীয় বায়ু সেনার পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানান হয়েছে, সম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় বায়ু সেনা ব্রিটেনে অনুষ্ঠিত কোবরা ওয়ারিয়র ২০২২এর অনুশীলনের জন্য তার বিমান পাঠাবে না। তবে আগে আইএফএফ মহড়ায় পাঁচটি যুদ্ধ বিমান পাঠাবে বলে জানিয়েছে।
ইউক্রেন রাশিয়ার সংকটের (Russia-Ukraine Crisis) কারণে আগামী মাসে ব্রিটেনে (Britain) অনুষ্ঠিত বহুপাক্ষিক বিমানমহড়ায় (air drills) অংশ নিচ্ছে না ভারত (India)। শনিবার ভারতীয় বায়ু সেনার পক্ষ থেকে তেমনই জানান হয়েছে। 'কোবরা ওয়ারিয়র' নামে বিমান মহড়া ওয়াডিংটনে ৬-২৭ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেখানে যোগ দেওযার কথা ছিল ভারতের বায়ু সেনার। কিন্তু ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের আবহে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করছে।
ভারতীয় বায়ু সেনার পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানান হয়েছে, সম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় বায়ু সেনা ব্রিটেনে অনুষ্ঠিত কোবরা ওয়ারিয়র ২০২২এর অনুশীলনের জন্য তার বিমান পাঠাবে না। তবে আগে আইএফএফ মহড়ায় পাঁচটি যুদ্ধ বিমান পাঠাবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু তার কিছুদিন পরেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আস ভারত। তবে এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসার জন্য আর কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা জানায়নি ভারতীয় বায়ু সেনা। তবে সূত্রের খবর যুদ্ধের আবহে ব্রিটেনের বিমান মহড়া থেকে পিছিয়ে এসেছে ভারত।
অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ (Russia-Ukraine war) নিয়ে একই পথে হাঁটল ভারত ও চিন (India and China)। দুটি দেশই রাষ্ট্রসংঘে (United Nation) রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দার খসড়া প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত থাকল। একই পথে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে আরব আমিরশাহী। অন্যদিনে রাষ্ট্রসংঘের ১১টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। কিন্তু কেন এমন পথ নিল ভারত- রাষ্ট্র সংঘেই তার ব্যাখ্যা দিয়েছে।
ভারত জানিয়েছে, সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রকে অবশ্যই মনবিরোধ ও বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আলোচনার ওপর ভরসা রাখতে হবে। কিন্তু ভারত ভোট দেয়নি তার কারণ হিসেবে ভারত জানিয়েছে, এটি রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে 'মার্কিন-স্পনসর্ড রেজুলেশন'। তাই ভোট দান থেকে বিরত ছিল।
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী সদস্য টিএস তিরুমূর্তি বলেছেন, ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিবর্তনের কারণে ভারত রীতিমত বিরক্ত। ভারত সর্বদাই হিংসা ও শত্রুতা বন্ধ করার পক্ষে। তারজন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে তা অবশ্যই গ্রহণ করবে ভারত। তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন সমস্যা মেটানোর একমাত্র উপায় হল আলোচনা। তিনি আরও বলেছেন 'কিন্তু দুঃখের বিষয় হল সমস্যা মেটাতে কূটনীতির পথ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।' কিন্তু সেই কূটনীতির পথেই ফিরে যেতে হবে। এই সমস্ত কারণেই ভারত রেজোলিউশনের ওপর ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি।