মার্কিন USAID ফান্ডিং নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবির তদন্ত চলছে। ভারতে কি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা হয়েছিল?
মার্কিন USAID ফান্ডিং নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এরই মধ্যে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এ বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। মার্কিন প্রশাসন এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি দাবি করেছিলেন যে ভারতের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য কোটি কোটি ডলার পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে, দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর বলেছেন যে ট্রাম্প প্রশাসন যে তথ্য শেয়ার করেছে তা অবশ্যই উদ্বেগজনক। তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেছেন যে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের বক্তব্য
USAID ফান্ডিং নিয়ে বিতর্কের প্রতিক্রিয়ায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেছেন, ভারতে সদিচ্ছা নিয়ে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এখন আমেরিকা থেকে যে সংকেত আসছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এছাড়াও তিনি বলেছেন, যদি এই কথায় কিছুটা সত্যতা থাকে তবে দেশের জানা উচিত যে এতে কোন কোন ব্যক্তি জড়িত।
২১ মিলিয়ন ডলার খরচ নিয়ে ট্রাম্প প্রশ্ন তুলেছিলেন
মার্কিন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতে USAID-এর মাধ্যমে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেছেন, "ভারতে ভোটে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করার কী দরকার ছিল? আমার মনে হয় তারা অন্য কাউকে নির্বাচিত করার চেষ্টা করছিল।" আমাদের ভারত সরকারকে জানাতে হবে... এটি একটি বড় সাফল্য। এই ইস্যুতে ভারতে রাজনৈতিক তোলপাড় শুরু হয়েছে, এবং এখন সরকারের তদন্ত রিপোর্টের দিকে সবার নজর।
আমেরিকার গর্ভনরদের কার্যনির্বাহী অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্প অনুদান প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি নরেন্দ্র মোদীকে বন্ধু বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, 'ভারতের ভোটারদের বুথমুখী করতে আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদীর দেশে ১৮২ কোটি টাকা যাচ্ছে। কিন্তু ভারতের ভোটারদের উপস্থিতি বদ্ধির জন্য আমারা অর্থ দেব কেন? আমিও চাই ভোটারদের বুথমুখী করতে। কিন্তু সেটা আমার দেশের জন্য।'