ছাঁটাই করায় রাগ, দোকান মালিককে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, মৃত্যু ২ জনেরই

বালা নোয়া জনিং নামে বছর ৩২-এর এক মহিলার একটি টেলরিংয়ের দোকানে কাজ করতেন মিলিন্দ নাথসাগর (৩৫)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই বালার সঙ্গে মিলিন্দের কাজ নিয়ে কিছু ঝামেলা চলছিল।

Web Desk - ANB | Published : Apr 27, 2022 7:32 AM IST / Updated: Apr 27 2022, 01:23 PM IST

চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেওয়ায় রাগ। সেই রাগ থেকেই দোকানের মালিকের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন যুবক। আর সেই একই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল তাঁরও। এদিকে তাঁদের উদ্ধার করতে গিয়ে জখম হন আরও এক যুবক। তাঁর দেহের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পুনের ভদগাঁও শেরি এলাকায়। 

বালা নোয়া জনিং নামে বছর ৩২-এর এক মহিলার একটি টেলারিংয়ের দোকানে কাজ করতেন মিলিন্দ নাথসাগর (৩৫)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই বালার সঙ্গে মিলিন্দের কাজ নিয়ে কিছু ঝামেলা চলছিল। তা নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই দু'জনের মধ্যে বচসা হত। তারপর হঠাৎই একদিন মিলিন্দকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেন বালা। এদিকে হঠাৎ করে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি মিলিন্দ। রাগে ফুঁসছিলেন তিনি। বালাকে 'শিক্ষা' দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ঠিক করেছিলেন বালাকে হত্যা করবেন। তার জন্য অনেক দিন ধরেই হত্যার পরিকল্পনা করছিলেন। সেই মতোই সব কিছু ঠিক করেছিলেন তিনি। 

আরও পড়ুন- প্রতিদিনই পাতে নষ্ট হয় খাবার? স্টপ ফুড ওয়েস্ট ডে-তে জানুন আপনার ফেলা খাবারে বাঁচতে পারে কত শিশু 

চন্দন নগর থানার ইন্সপেক্টর সুনীল যাদব বলেন, "ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে যে শনিবার রাতে বালার ওই টেলারিংয়ের দোকানে যান নাথসাগর। এরপর সেখানে পেট্রল ঢেলে বালা-সহ দোকানটিকে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই মতো আগুনও ধরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। বালার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পরই মিলিন্দকেও জড়িয়ে ধরেন তিনি। আর সেখান থেকে পালাতে পারেননি মিলিন্দ। সেই আগন তাঁর শরীরেও ছড়িয়ে পড়ে। তাতে পুড়েই তাঁদের দু'জনের মৃত্যু হয়।" তাঁদের শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- মন্দির মসজিদ থেকে সরছে বেআইনী লাউডস্পিকার, কড়া নির্দেশ যোগী প্রশাসনের

এদিকে এই ঘটনা দেখতে পেয়েই বালা ও মিলিন্দকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন প্রশান্তকুমার দেবনার (২৬) নামে এক যুবক। ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু, সেই আগুন তাঁর শরীরেও লেগে যায়। এরপর ঘটনাটি দেখতে পেয়ে এগিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই ঘটনাস্থল থেকে তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে বালা ও মিলিন্দকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে প্রশান্তের শরীরের ৩৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চন্দন নগর থানার পুলিশ।    

আরও পড়ুন- 'তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা সত্যি হতে পারে', ইউক্রেনের সঙ্গে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

Share this article
click me!