সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশে সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী। যদিও পুলিশ গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে, প্রতিবাদীদের অভিযোগ পুলিশকে গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে। সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ সামলাতে রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রীও রণংদেহি মূর্তি ধারণ করেছেন। সরকারী সম্পত্তি ধ্বংসের দায়ে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাদের কাছ থেকে মোটা টাকা জরিমানা চাওয়া হবে তখনই জানিয়েছিলেন তিনি। সেই পথে হাঁটা শুরু করে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করে কাউকে কাউকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছিল। এবার সেই তালিকায় যোগ হল উল্লেখযোগ্য় দুই প্রতিবাদীর নাম--সাদাফ জাফর আর এসআর দারাপুরী।
জানা গিয়েছে ইতিমধ্য়েই ক্ষতিপূরণ চেয়ে ২৮জনের কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে। যাঁদের মধ্য়ে রয়েছে এই দুজনের নাম। সাদাফ জাফর হলেন কংগ্রেস নেত্রী আর দারাপুরী হলেন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার। যাঁর সঙ্গে দেখা করতে উত্তরপ্রদেশ গিয়েছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। তালিকায় রয়েছেন অ্য়াক্টিভিস্ট মহম্মদ শোয়েবও। এঁদের কাছ থেকে সবমিলিয়ে ৬৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের সময়ে লক্ষৌতে ১০ ডিসেম্বর পরিবর্তন মোড়ে জনগণের ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করার জন্য় তাঁদের এই টাকা হিসেবে দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, লক্ষৌ(পূর্ব)-র অতিরিক্ত জেলা শাসক কেপি সিং এই আদেশ জারি করে জানিয়েছেন, ৩০ দিনের মধ্য়ে এই টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে বিক্ষোভকারীদের। আর তা না-পারলে, সরকার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করবে।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর, ,সিএএ-বিরোধী একটি ঘোষিত কর্মসূচির মুখে মহম্মদ শোয়েব ও দারাপুরীকে নজরবন্দি করা হয়। তাই ওই বিক্ষোভে তাঁদের দাবি, ওই সময়ে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। অন্য়দিকে সাদাফ জারদার ও অন্য়ান্য় সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন যে, তাঁদের দ্বারা যে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে তার কোনও প্রমাণ নেই।