কাশী বিশ্বনাথ ধাম-এর (Kashi Vishwanath Dham) পুনর্গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) এবং উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যাথকে (Yogi Adityanath) কৃতজ্ঞতা জানালেন বিশিষ্ট ধর্মীয় গুরু, সদগুরু (Sadhguru)। শুধু ভারত নয়, কাশীর পুনর্গঠন গোটা বিশ্বের জন্যই দারুণ গুরুত্বপূর্ণ।
কাশী বিশ্বনাথ ধাম-এর (Kashi Vishwanath Dham) পুনর্গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) এবং উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যাথকে (Yogi Adityanath) কৃতজ্ঞতা জানালেন বিশিষ্ট ধর্মীয় গুরু তথা ইশা ফাউন্ডেশনের (Isha Foundation) প্রতিষ্ঠাতা, সদগুরু (Sadhguru)। উত্তরপ্রদেশ এবং বারানসীর (Varanasi) মানুষদেরও তিনি এর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এদিন একটি কাশীর (Kashi) পুনরুজ্জীবন সম্পর্কে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন সদগুরু। সঙ্গের ক্যাপশনে লিখেছেন কাশির পুনরুজ্জীবন শুধু ভারতের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কাশী হল পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন শহর যা এখনও টিকে রয়েছে। সদগুরুর মতে এটি এমন একটি দ্বারপথ যা হাজার হাজার মানুষকে তার আকাঙ্ক্ষার অভিব্যক্তি খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন কাশীর প্রাচীনত্ব সম্পর্কে। সদগুরু বলেছেন, যখন প্রাচীন গ্রিক শহর এথেন্স (Athens) স্থাপনের কথা ভাবা হয়নি, রোম (Rome) যখন গড়ে ওঠেনি, মিশরে (Egypt) যখন পিরামিড তৈরি হয়নি, সেই সময় থেকে কাশীতে মানুষ বসবাস করছে। তিনি জানান, বিশ্বখ্যাত লেখক মার্ক টোয়াইন (Mark Twine) বলেছিলেন, 'বিশ্বে যত কিংবদন্তি শোনা যায়, সেগুলির থেকেও প্রাচীন বারানসী'। তিনি আরও জানান, বারানসী শহর গঠিত হয়েছিল একটি 'যন্ত্র', অর্থাৎ, একটি কার্যকর শক্তি পদ্ধতির আকারে। যা মহাজগতের সঙ্গে মানুষকে সংযুক্ত করে। আর এই সংযোগকেই বলা হয়েছে কাশি বা আলোকস্তম্ভ। যা ব্যক্তি মানুষকে অস্তিত্বের গভীর মাত্রায়য় পৌঁছে দেয়। জন্ম ও মৃত্যুর জন্য় বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শহর।
তিনি আরও বলেন, এই কারণেই কাশী কোনো ধর্ম, জাতি, রাজনৈতিক দল বা দেশের মানুষের নয়, এই শহর বিশ্বের সকলের। আর কাশীর মন্দিরে যে দেবতার বাস, তিনি হলেন বিশ্বনাথ, অর্থাৎ গোটা বিশ্বের প্রভু। কাজেই, এই শহর ও মন্দির গোটা বিশ্বের সকল মানুষ ও সকল প্রাণীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সদগুরুর মতে এই মন্দির জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকা উচিত। তিনি আরও জানান, এই প্রাচীন শহরকে টিকিয়ে রাখার জন্য যতটা সম্ভব পুনর্নির্মাণ, পুনর্গঠন করা যায়, তা করতে হবে। যতটা হয়েছে, তার জন্য তিনি আনন্দিত। শিঘ্রই তিনি কাশী ভ্রমণে যাবেন বলেও ভিডিও বার্তায় জানান সদগুরু।
টাইমস নাও-কে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাত্কারে, সদগুরু বলেছেন স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ভারতীয়রা ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে প্রতি লজ্জাবোধ করত। নিজেদেরকে পশ্চিমী ধাঁচে গড়তে চাইত। তবে, গত ১০ বছরে ভারতীয় সংস্কৃতির গর্বের পুনরুত্থান ঘটেছে'। তাঁর মতে আগামী কয়েক বছরে কিছু সঠিক কাজ করতে পারলে, ভারতীয়দের সাংস্কৃতিক নবজাগরণ ঘটবে।
সোমবার, কাশী বিশ্বনাথ ধাম নির্মাণকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সদগুরু জানিয়েছেন, এটাই ভারতীয় সংস্কৃতি। বরাবর ভারতীয় রাজারা মন্দিরের স্থপতিদের এবং শ্রমিকদের দেবতার আসনে বসাতেন। আঙ্গুল কাটার সংস্কৃতি বাইরে থেকে এসেছে।