রাশিয়ার করোনাভাইরাস প্রতিষেধক কতটা নিরাপদ, প্রশ্ন এইমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের

রাশিয়ার করোনা ভাইরাস প্রতিষেধক নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ 
সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন এইমসের চিকিৎসক
প্রতিষেধকটি বিশ্বমানের কিনা প্রশ্ন

Asianet News Bangla | Published : Aug 11, 2020 3:14 PM IST / Updated: Aug 12 2020, 10:38 AM IST

রাশিয়ার তৈরি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে রীতিমত সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন এইমস-এর ডিরেক্টর চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া। রাশিয়ার তৈরি করোনা প্রতিষেধক স্পুটনিক ভি রীতিমক নিরাপদ বলে মঙ্গলবারই দাবি করেছেন সেদেশের প্রধান পুতিন। তাঁর মেয়ের শরীরেও প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎক সেই স্পিটনিক ভি-র বিষয় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন। 

রণদীপ গুলিরিয়া মনে করেন, প্রতিষেধক ব্যবহারের আগে তা নিরাপদ কিনা যাঁচাই করে দেখা প্রয়োজন। পাশাপাশি বিশ্বমান পুরণ করেছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি আরও বলেন ভ্যাক্সিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নমুনা ও কার্যকারিতা সঠিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে।  ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় যেসব প্যারামিটারগুলির দিকে নজর দেওয়া হয়েছিল সেগুলিও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিষেধক প্রয়োগের পরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তা কতক্ষণ কাজ করবে তাও জানান প্রয়োজন রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। 

শুধু রণদীপ গুলেরিয়াই নন অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও তাড়াহুড়ে করেছে রাশিয়া। 

শীতের সমর সজ্জায় বিশেষ জোর ভারতীয় সেনা বাহিনীর, সিয়াচেনের সঙ্গে প্যাংগং-এও চলছে প্রস্তুতি ...

গালওয়ানে ভারত-চিন সংঘর্ষের তদন্ত নিয়ে 'ভুয়ো' খবর, কী বলল ভারতীয় সেনা .
রাশিয়াতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নতুন প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হবে। আগেই এই প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল করা হয়েছিল। তারপরই তা নিয়মিত অনুমোদনের মর্যাদা পায়। প্রথম করোনা প্রতিষেধ তৈরির করতে পারার জন্য দেশের বিজ্ঞানীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন পুতিন। তাড়াহুড়ে করে অনুমোদন দেওয়ায় কিছুটা হলেও উদ্বেগ বাড়ছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। ভারতেও শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের ট্রায়াল রান। একটি প্রতিষেধক দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রান শেষ করেছে। তবে প্রতিষেধ বিকাশকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক আগেই জানিয়ে দিয়েছে তাঁরা সাধারণের ব্যবহারের আগে একাধিকবার খতিয়ে দেখবেন সেটি কতটা নিরাপদ। পাশাপাশি সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে বিশ্বমানের প্রতিষেধক তৈরি করার লক্ষ্যেই তাঁরা কাজ করছেন। অন্যদিকে অক্সোফোর্ডের প্রতিষেধকেও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। 
৪ বছর পর ঘুম ভেঙেছে মাউন্ট সিনাবাং-এর, আগ্নেয়গিরির ভয়ঙ্কর ভিডিও দেখুন ...

Share this article
click me!