সাক্ষীর মৃত্যুর দায় কি শুধু সাহিলেরই? এই প্রসঙ্গেই একটি বড়সড় বিষয়ের দিকে আঙুল তুলে দিলেন সাক্ষীর মা।
দিল্লিতে একের পর এক ছুরির কোপের পর পাথর দিয়ে খুন করা হয়েছে ১৬ বছরের কিশোরী সাক্ষীকে। তাঁকে খুনের দায়ে তাঁর ২০ বছর বয়সী প্রেমিক সাহিল খানকে গ্রেফতার করেছে দিল্লির পুলিশ। সাহিলের পাশাপাশি তার দুই বন্ধুকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু, সাক্ষীর মৃত্যুর দায় কি শুধু সাহিলেরই? এই প্রসঙ্গেই একটি বড়সড় বিষয়ের দিকে আঙুল তুলে দিলেন সাক্ষীর মা।
দিল্লির রোহিণীর শাহবাদ ডেয়ারি এলাকায় ২১ বার ছুরি দিয়ে কোপ মারার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ১৬ বছরের প্রেমিকার মাথায় বড় পাথরের চাঁই দিয়ে আঘাতের পর আঘাত করতে করতে মেরে ফেলে ২০ বছর বয়সী প্রেমিক সাহিল খান। এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ রেকর্ড হয়েছে স্থানীয় একটি সিসি ক্যামেরায়। সেই ফুটেজে দেখা গেছে যে, সাহিল যখন সাক্ষীর গলায়, ঘাড়ে একের পর এক কোপ বসাচ্ছিল, তারপর যখন পাশে রাখা পাথরের চাঁই তুলে ধরে বারবার সাক্ষীর মাথার ওপরে ফেলছিল, তারও পরে সে যখন লাথির পর লাথি মেরে সাক্ষীর মৃতদেহটি পাশের একটি নালার মধ্যে প্রায় ঢুকিয়ে দিচ্ছিল, তখন ওই ফুটপাথ ধরে বহু লোক সম্পূর্ণ ঘটনাটি দেখতে দেখতে পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এতেই সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য হয়েছেন সাক্ষীর মা। তিনি আশ্চর্য হয়েছেন এটা দেখে যে, রাস্তার অতগুলো লোক সেদিন এই ঘটনার বিরুদ্ধে এতটুকুও প্রতিবাদ করল না!
প্রকাশ্যে একজন মানুষকে অস্ত্রের কোপ মেরে খুন করা হচ্ছে, অথচ রাস্তার সমস্ত পথচারী নির্বিকার হয়ে দেখতে দেখতে হেঁটে চলে যাচ্ছেন, এমনই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সাক্ষীর মা হতবাক হয়ে বলেছেন, “ঘটনার দিন যাঁরা পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তাঁদের নিজের মেয়ের সঙ্গে যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটত, তাঁরা কি চুপ করে থাকতেন? তাঁদের মধ্যে কেউ একজনও যদি এগিয়ে আসতেন, তাহলে আমার মেয়েটা বেঁচে যেত। কিন্তু, কেউই এগিয়ে এলেন না!” সংবাদ মাধ্যমের কাছে কন্যা-হারা মা আক্ষেপ করেছেন, “আমার ওই একটাই সন্তান ছিল। আজ আর সে নেই।”
আরও পড়ুন-
কোচবিহারে গুলি করে খুন দিনহাটার বিজেপি নেতা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি তুললেন শুভেন্দু অধিকারী
‘কালীঘাটের কাকু’ গ্রেফতার হওয়ার আগে কি ইডি অফিসে বারবার ফোন করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী? কুন্তর ঘোষের চাঞ্চল্যকর দাবি
Ranbir Deepika: আবার একসাথে রণবীর-দীপিকা, ১০ বছর পরেও অমলিন ভালোবাসার ইতিহাস