উত্তরপ্রদেশের ভোটেও মমতার 'খেলা হবে', তৃণমূলের বই থেকে পাতা ধার নিল সপা

Published : Jun 25, 2021, 07:31 PM ISTUpdated : Jun 25, 2021, 07:32 PM IST
উত্তরপ্রদেশের ভোটেও মমতার 'খেলা হবে', তৃণমূলের বই থেকে পাতা ধার নিল সপা

সংক্ষিপ্ত

মমতাই অনুপ্রেরণা অখিলেশ যাদবের বঙ্গভোটে দারুণ সফল হয়েছিল 'খেলা হবে' স্লোগান এবার সেই স্লোগান ধার নিল সমাজবাদী পার্টি কানপুর শহর জুড়ে পড়েছে হোর্ডিং  

বাংলা আজ যা ভাবে, ভারত তা কাল ভাবে - মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাত ধরে এই পুরোনো প্রবাদ আরও একবার সত্যি হতে চলেছে। মার্চ-এপ্রিল মাসে বঙ্গভোটের প্রচার পর্বে, প্রতিটি সভায় শোনা যেত 'খেলা হবে'। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই স্লোগান দিয়ে বল ছুঁড়তেন। 'খেলা হবে' শিরোনামে একটি গানও তৈরি করা হয়েছিল, জেতার পর যার তালে তালে হয়েছে জয়ের নাচও। বাংলায় এই স্লোগানের সাফল্যের পর, এবার উত্তরপ্রদেশেও বিজেপির বিরুদ্ধে এই স্লোগানকেই কাজে লাগাতে চাইছে সমাজবাদী পার্টি।

কানপুর শহর জুড়ে, সমাজবাদী পার্টির পক্ষ থেকে একটি হোর্ডিং লাগানো হয়েছে, অখিলেশ যাদব এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ছবি, দলীয় প্রতীকের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে লেখা রয়েছে, 'আব ইউপি মে খেলা হোই' (এবার উত্তরপ্রদেশে খেলা হবে)। ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের দামাম ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে। এই হোর্ডিং থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশেও সম্ভবত বিজেপিকে, সেই খেলা হবে স্লোগানেরই মোকাবিলা করতে হবে, জায়গা ভেদে তা হয়তো একটু বদলে দাঁড়াবে 'খেলা হোই'।

সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে বড় সাফল্য পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি। সেই সাফল্যের উপর ভর করে তারা ২০২২ বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন গেরুয়া শিবিরকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত। সেই নির্বাচনী যুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই অনুপ্রেরণা অখিলেশ যাদবের। মমতা যেমন একাই লড়েছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে, আসন্ন নির্বাচনে সপাও সেরকম 'একলা চলো' মন্ত্র নিয়েছে। এরপর যুক্ত হল 'খেলা হবে' স্লোগানও। সপা'র কানপুরের শহরের প্রধান ডাক্তার ইমরান জানিয়েছেন, তাঁরা কানপুর এই হোর্ডিং লাগিয়েছেন, কারণ এবার অবশ্যই উত্তরপ্রদেশে খেলা হতে চলছে। বাংলায় বিজেপি যেভাবে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছিল, তার ফল তারা পেয়েছে, ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশেও সেই খেলার পুনরাবৃত্তি হবে।

তবে, বাংলায় বিজেপি ছিল বিরোধী আসনে, উত্তরপ্রদেশে তারাই আছে ক্ষমতায়। এই অবস্থায় যোগী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে কাজে লাগাতে চাইছে তারা। অর্থনীতি এবং বেকারত্ব বৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্য়েই তারা আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে। অখিলেশ যাদব বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শুধু বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সম্মেলনই করেছেন, কাজের কাজ কিছু হয়নি। বিজেপির স্বল্পমেয়াদি দৃষ্টিই এর জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

PREV
click me!

Recommended Stories

জেনে নিন আজ শহরে ডিজেল ও পেট্রোলের দাম কত
এই সপ্তাহে ৪দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক! কবে কবে? জেনে নিন সেই তারিখগুলি