কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে হতাশ দেশের LGBTQ+ সম্প্রদায়ের মানুষ। সরকারের বিরোধিতাকে উপেক্ষা করে বহু LGBTQ+ সম্প্রদায়ের যুগল ইতিমধ্যেই বিয়ে করেছেন।
সমপ্রেমী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি নয়। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিল কেন্দ্র। দুই ভিন্ন লিঙ্গের মানুষের মিলনের সঙ্গে এই বিস্তর তফাৎ বলেই আদালতে দেওয়া হলফনামায় জানাল মোদী সরকার। এই মর্মে ভারতীয় সংস্কৃতির একাধিক তত্ত্বও তুলে ধরা হয়েছে। কেন্দ্র যে কোনও ভাবেই সমপ্রেমী বিবাহকে স্বীকৃতি দিতে রাজি নয় সেবিষয়টা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। রবিবার শীর্ষ আদালতে এই মর্মে একটি হলফনামাও জমা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ হিসেবে ভারতীয় পরিবারতন্ত্রের তত্ত্বও তুলে ধরল কেন্দ্র। তাঁদের দাবি এই ধরনের সম্পর্ক ভারতীয় পরিবারতন্ত্রের পরিপন্থী। আইনি স্বীকৃতির কথা খারিজ করার আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে একটি বিবাহের সম্পর্কে একজন বায়োলজিক্যাল পুরুষ ও একজন বায়োলজিক্যাল মহিলা দরকার। তাঁদের মিলনের ফলে জন্মানো শিশুকে নিয়ে একটি পরিবার গড়ে ওঠে। সমপ্রেমী সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়।
কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে হতাশ দেশের LGBTQ+ সম্প্রদায়ের মানুষ। সরকারের বিরোধিতাকে উপেক্ষা করে বহু LGBTQ+ সম্প্রদায়ের যুগল ইতিমধ্যেই বিয়ে করেছেন। অনেকেই অপেক্ষা করছেন তাঁদের প্রিয় মানুষকে আইন সম্মতভাবে বিয়ে করার। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য একদিকে যেমন হতাশা জনক অপদিকে সমপ্রেম নিয়ে সরকারের অনড় অবস্থানকে আরও একবার স্পষ্ট করে দেয়। এবার সমপ্রেমী বিয়ের আইনি স্বীকৃতি খারিজ হলে ইতিমধ্যেই যে সমস্ত যুগলরা বিয়ে করেছেন তাঁদেরও প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে কি না সে বিষয়ও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
রবিবার সমপ্রেমী বিবাহের স্বীকৃতি নিয়ে শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই হলফনামায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে সরকার এই ধরনের বিবাহকে স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়। এই হলফনামায় বলা হয়েছে,'সমপ্রেমী সম্পর্ক ও উভপ্রেমী সম্পর্কের মধ্যে অনেক তফাত। দুটি বিষয়কে এক করে দেখা যাবে না। অর্থাৎ সমলিঙ্গ বা সমপ্রেমী বিবাহকে আইনি বৈধতা দেওয়া সম্ভব নয়।'
আরও পড়ুন -