অযোধ্যা কাণ্ডে রফাসূত্র বের হতে পারে আজ, রিপোর্ট হাতে তৈরি তিন বিচারপতি

  • ৭০ বছর ধরে চলে আসা রাম জন্মভূমি বনাম বাবরি মসজিদ বিতর্কটিকে সমাধান করার জন্যেই এই তিন বিখ্যাত মধ্যস্থতাকারীকে ডাকা।
  • কথা হয় তারা এই ২.৭৭ একর জমির রফার জন্যে বাদী বিবাদী দুই পক্ষকেই মুখোমুখি বসিয়ে রফা করবে।

arka deb | Published : May 10, 2019 3:57 AM IST / Updated: May 10 2019, 09:54 AM IST

অযোধ্যা জমি বিতর্কের জল বহু দূর গড়িয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট উপায়ান্ত না দেখে তিন সদস্যের একটি কমিটি গড়েছিল মধ্যস্থতার জন্যে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এফ এম আই কালিফুল্লার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সেই কমিটি সম্ভবত কোনও মধ্যস্থতার সূত্র বের করতে পারবে।  শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতেই সেই রফাসূত্র বেরিয়ে আসতে পারে। যদিও তার পরবর্তী কর্মসূচীর দীর্ঘসূত্রিতা সম্পর্কেও সন্দেহের অবকাশ নেই। 

গত ৮ মার্চ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি  ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি  এস আব্দুল নাজির মিলে বিচারপতি কালিফুল্লার নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্যানেল তৈরি হয়। মধ্যস্থতায় সাহায্যের জন্যে ডাকা হয় শ্রী রবি শঙ্কর ও শ্রীরাম পঞ্চুকে। ৭০ বছর ধরে চলে আসা রাম জন্মভূমি বনাম বাবরি মসজিদ বিতর্কটিকে সমাধান করার জন্যেই এই তিন বিখ্যাত মধ্যস্থতাকারীকে ডাকা। কথা হয় তারা এই ২.৭৭ একর জমির রফার জন্যে বাদী বিবাদী দুই পক্ষকেই মুখোমুখি বসিয়ে রফা করবে।

এপ্রিল মাসে দুই দলের সঙ্গে কথা বলে প্রথম রিপোর্ট দাখিল করে এই প্যানেল। এই চলতি সপ্তাহে তাঁরা দাখিল করেছেন দ্বিতীয় রিপোর্ট। শুক্রবার অযোধ্যা মামলার শুনানি। সেখানে দুটি রিপোর্টই শুনবে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়। শ্রীরাম পঞ্চু এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন 'বিষয়টিতে জটিলতা রয়েছে। আমরা মধ্যস্থতার পদ্ধতিগুলি সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাব হিসেবে রেখেছি। এটুকু বলতে পারি অযোধ্যা মামলায় নিরাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই।'

অযোধ্যা মামলা ২০১০ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্যে ঘুরছে। ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ  জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছিল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।

মধ্যস্থতাকারী তিন সদ্স্যের দলটি জানিয়েছে, বাদী বিবাদী দুই পক্ষের মধ্যেই বেশ কিছু চরমপন্থী রয়েছেন। তাঁদেরকে দূরে রেখেই গোটা প্রক্রিয়া শুরুর কথা ভাবছে দলটি। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তাঁদের, তা বোঝা যাবে আর কয়েক ঘণ্টা পরেই।

Share this article
click me!