ছয় মাস ধরে শিকেয় উঠেছে পঠন-পাঠন, অবশেষে স্কুল খুলছে কাশ্মীরে

  • ছ-মাস বন্ধ থাকার পর স্কুল খুলছে কাশ্মীরে
  • উপত্য়কায় সোমবার থেকে খুলছে স্কুল
  • নিরাপত্তার কারণেই এতদিন স্কুলমুখো হয়নি পড়ুয়ারা
  • এখন দেখার, শেষ  অবধি তারা ভয় কাটিয়ে স্কুলে আসে কিনা

Sabuj Calcutta | Published : Feb 23, 2020 12:38 PM IST

-মাস বাদে খুলছে স্কুলের দরজা এবার বারুদের ধোঁয়া পেরিয়ে সেখানে ক্লাসঘরে আসবে ছোটছোট পড়ুয়ারা। সোমবার থেকে স্কুল খুলছে কাশ্মীরে গতবছরের অগস্ট মাসে সেখানে ৩৭০ ধারা রদ করা হয়েছিল জম্মু  ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খারিজের পর থেকেই কার্যত তালা  পড়ে গিয়েছিল সেখানকার স্কুলগুলোতেমাঝে একবার স্কুল খোলবার চেষ্টা হয়েছিল বটে, তবে বেশিরভাগ পড়ুয়াই ছিল অনুপস্থিত

কার্যত নিরাপত্তার কারণেই এতদিন স্কুলের চৌকাঠ পেরোতে চায়নি পড়ুয়ারা অগস্ট মাসে সেখানে ৩৭০ ধারা রদের পর থেকেই অভূতপূর্ব ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল মোড়ে মোড়ে আধা সামরিক বাহিনীর টহল আর কার্ফু পেরিয়ে কেউই সেভাবে প্রাণ হাতে করে স্কুলে  যেতে চায়নি সেইসময়ে কাশ্মীর কার্যত গোটা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি মোবাইল, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যার জেরে খবরের কাগজ পর্যন্ত ঠিকমতো প্রকাশিত হতে পারেনি বেশকিছুদিন 

পরে মোবাইল ও টেলিযোগাযোগ ফিরে এলেও  ইন্টারনেট ফেরেনি অনেকদিন পর্যন্ত শেষে যখন সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়, ইন্টারনেট যোগাযোগ মৌলিক অধিকারের সমান, তারপর পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতি পাল্টায় উপত্য়াকায় পর্যায়ক্রমে ফিরে আসে ইন্টারনেট

এদিকে সেই অগস্ট মাস থেকে শুরু করে আজ অবধি জননিরাপত্তা আইনে সেখানে বন্দি রয়েছেন তিন প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী-সহ  নেতৃস্থানীয় বেশ কয়েকজন যার সর্বশেষ সংযোজন হলেন প্রাক্তন আইএএস শাহ ফয়জল

এমতাবস্থায় স্কুল খোলার চেষ্টা হলেও তাতে কাজের কাজ সেভাবে কিছু হয়নি ভয়, অবিশ্বাস আর চোরা সন্দেহের বাতাবরণের মধ্য়ে ছোট-ছোট পড়ুয়ারা কেউই আর স্কুলমুখো হতে সাহস পায়নিযদিও কেন্দ্রীয় সরকার বরাবরই দাবি করে এসেছে, উপত্য়কায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক, কিন্তু তাতে করে সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরানো যায়নিএখন দেখার, ছ-মাস বাদে খোলার পর পড়ুয়ারা স্কুলমুখো হয় কিনানা-হলে  তা কেন্দ্রীয় সরকারের নৈতিক পরাজয় বলেই মনে করা হবেমনে করা হবে, উপত্য়কার মানুষের আস্থা ফেরাতে সম্পূর্ণ ব্য়র্থ হয়েছে মোদী-শাহের সরকার

Share this article
click me!