
দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনার চলছে তদন্ত। এবার এই ঘটনায় বড় পদক্ষেপ নিল নিরাপত্তা এজেন্সি। উড়িয়ে দেওয়া হল মূল অভিযুক্ত উমর নবির বাড়ি। জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ছিল তার বাড়ি। সেটি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরক ব্যবহার করে পুলওয়ামায় উমর নবীর বাড়িটি উড়িয়ে দেওয়া হয়। জানানো হয়েছে, তার বাড়িটি একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ জিভাইস দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
এদিকে, জইশ-এর সঙ্গে যুক্ত জঙ্গিরা পাকিস্তান সফর করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। শ্রীনগরে ধৃত আদিল রাঠোরের ভাই মুজাফফর এই সফরের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল বলে খবর। শ্রীনগরে ধৃত আদিল রাঠোরকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। তার ভাই মুজাফফর রাঠোর জঙ্গিদের দুবাই, তুরস্ক এবং পাকিস্তানে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। মুজাফফর রাঠোরের সঙ্গে জইশ-এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লি বিস্ফোরণের সময় প্রধান সন্দেহভাজন উমর সোমবার সন্ধ্যায় চাঁদনী চকের ১ নম্বর মেট্রো গেটের কাছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। জানা যায়, হামলার আগে উমর রামলীলা ময়দানের কাছে আসাফ আলি রোডের একটি মসজিদে ছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা সুনেহরি মসজিদের পার্কিং লটে যান। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় তিনি ৩.১২ নাগাদ আই ২০ পার্কিং করছিলেন। তাঁর মোবাইল ফোনের ডেটা ও সিগন্যালের সমস্ত রেকর্ড পরীক্ষা করেছে সংস্থা। পুলওয়ামার কোয়েল গ্রামের বাসিন্দা ড. উম নবী। সে ফরিদাবাদের একটি কলেজের ফ্যাকাল্টি মেম্বার ছিল। হরিয়ানার খাণ্ডওয়ালি গ্রাম থেকে উদ্ধার হয় উমর নবির দ্বিতীয় গাড়ি।
গত ১০ নভেম্বর ফরিদাবাদ পুলিশের ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধারের খবর প্রকাশ্য আসতেই উমর প্যানিক করে গিয়েছিল হলে অনুমান। দিল্লি মসজিদে বেশ কয়েক ঘন্টা বসেছিল সে। তারপর গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। গাড়িতে অর্ধেক তৈরি হওয়া বিস্ফোরক ছিল। সেটি সঠিকভাবে ইনস্টলও করা ছিল না বলে খবর। পুলওয়ামার বাসিন্দা পেশায় ডাক্তার এই যুবক কাশ্মীর, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশে ঘোরাফেরা করত। তবে, তার প্ল্যান ভেস্তে যায় সঙ্গী ডা: মুজাম্মিল শাকিল ধরা পড়তে। তার ঘর থেকে ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়া নাইট্রেট উদ্ধার হয়। এরপরই বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে লালকেল্লার সামনে পৌঁছায় সে। এই বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।