বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হবে গোটা স্টেশন, এই মর্মে হুমকি এসেছে জঙ্গি সংগঠনগুলির কাছ থেকে। ফলে সতর্ক হিমাচল প্রদেশ প্রশাসন।
জঙ্গি হামলার হুমকির মুখে সিমলা হেরিটেজ রেলস্টেশন (Shimla Heritage Railway Station)। বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হবে গোটা স্টেশন, এই মর্মে হুমকি এসেছে জঙ্গি সংগঠনগুলির কাছ থেকে। ফলে সতর্ক হিমাচল প্রদেশ প্রশাসন (Himachal Pradesh authorities)। ইতিমধ্যেই গোটা এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা (security)।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশ প্রশাসন এই মাসের শুরুতে শিমলা রেলওয়ে স্টেশন সহ মন্দির ও রেলস্টেশনের নামকরণের জন্য জঙ্গি সংগঠনগুলির কাছ থেকে হুমকি পেয়েছিল। তাই প্রথম থেকেই কোনও জঙ্গি কার্যকলাপ এড়াতে, সিমলার রেল কর্তৃপক্ষ হুমকির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। সেই মর্মে সতর্ক করা হয়েছে রাজ্য পুলিশকে।
সিমলা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট জোগিন্দর সিং বলেছেন, তারা সিমলা রেলওয়ে স্টেশনে রেলওয়ের বিভিন্ন বিভাগের একটি বিশেষ বৈঠক তলব করেন। স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, সরকারি রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) এবং রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) সহ নিরাপত্তা বাহিনী ইতিমধ্যেই সতর্ক রয়েছে। বৈঠকে, টহলকে আরও জোরদার করার এবং আরও ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জনগণকে সচেতন করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনও রকম সন্দেহজনক বিষয় নজরে আসলেই তা পুলিশের কাছে রিপোর্ট করার আবেদন করা হয়েছে।
সিমলা হেরিটেজ রেলওয়ে স্টেশনে মোতায়েন থাকা স্থানীয় পুলিশকে প্রতিটি ট্রেন আসার সময় স্টেশনে যাত্রী ও লাগেজ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কালকা-সিমলা ট্রেনের মাধ্যমে এখানে আগত যাত্রীরা এই পরীক্ষায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে এই নিরাপত্তা জরুরি। কালকা-শিমলা হেরিটেজ রেলওয়েতে বর্তমানে ছয়টি ট্রেন চালু রয়েছে, যেগুলো সিমলায় আগত পর্যটকদের বেশ পছন্দের।
উল্লেখ্য, ভারতীয় রেলের কালকা-শিমলা রেলপথটি পর্যটকদের আকর্ষণের উৎস। ঐতিহ্যবাহী দুফুট ৬ইঞ্চি ন্যারোগেজ লাইনের টয় ট্রেন দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ২০০৮ সালে, কালকা সিমলা রেললাইনটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহাসিক স্থান হিসাবে মনোনীত হয়েছিল। এর পরে, এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হয়ে ওঠে, হেরিটেজ মিউজিয়াম এই এলাকার ইতিহাস বজায় রাখে। কালকা এবং সিমলার মধ্যে ভারতীয় রেলপথ একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।
এদিকে, ২২শে নভেম্বর ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় ভারতীয় সেনা ঘাঁটির কাছে। পঞ্জাবের পাঠানকোটে সেনা শিবিরের কাছেই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ক্যাম্পের ত্রিবেনী গেটের কাছেই গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানা যায়। তবে কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ । তবে এই ঘটনায় কেউ জখম হয়নি বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।