চলতি মাসের শুরুতেই জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এরপর ঘোষণা করা হয়ে যে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী ৩৭০ ধারা বাতিল করে দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি কার্যত ছিল থমথমে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা উপত্যকা। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল যোগাযোগ ব্যবস্থায় মাধ্যমও।
তবে বর্তমানে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি খানিকটা স্বাবাভিক হলেও বেশ কিছু এলাকায় ঘটে যাওয়া কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এর মধ্যেই পাওয়া গেল আরও এক অবাক করা তথ্য। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের আগে ম্যাঙ্গালোরের কোল্লুরের মুকাম্বিকা মন্দিরের কাছে অর্থ মন্ত্রকের কাছ থেকে একটি টেলিফোন যায়। সেখানকার পুরোহিতদের বলা হয়েছিল একটি বিশেষ পুজোর আয়োজন করতে। শুধু তাই নয় সেই পুজোর প্রসাদ বিশেষভাবে তুলে দেওয়ার আর্জি জানানো হয় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ-এর হাতে।
স্ত্রীর নাম থাকবে কি এনআরসি তালিকায়, আতঙ্কে আত্মঘাতী স্বামী
আরও পড়ুন- এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার খবরে প্রাণ গেল এক মহিলার, তদন্তে উঠে এল রিপোর্ট ভুয়ো
আজ এনআরসি তালিকা প্রকাশ,অসমে জারি কড়া সতর্কতা, কী আছে রাজ্যবাসীর ভাগ্যে
পুরোহিত কে এস সুব্রমন্যা আদিগা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই প্রথম এইরকমের কোনও ফোন তাঁরা পেয়েছেন। তিনি আরও জানান যে, প্রথমে তাঁরা বুঝতে পারেননি যে, ঠিক কী কারণে এই পুজোর্চনার আয়োজন তাঁদের করতে বলা হয়েছে। তবে পরে তাঁরা বুঝতে পারেন যে, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের আগেই এই পুজো করিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মন্দিরের তরফে সকল পুরোহিতরা চন্দ্রিকা হোমের আয়োজন করা হয়েছিল। এই মহাপুজো প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঘরে চলেছিল। এই পুজোর দুদিন পর মন্দিরের প্রধান পুরোহিত কেএন নরসিংহ আদিগা এবং অন্যান্য আরও বর্ষীয়ান পুরোহিতরা দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। কে এস সুব্রমন্যা আরও বলেন এরপর ৭ অগাস্ট তারিখে তাঁরা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবং অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে দেখা করেন এবং সেই প্রসাদ তাঁদের হাতে তুলে দেন। তার পরের দিন অর্থাৎ ৮ অগাস্ট তারিখে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁদের দেশের উন্নয়নের জন্য প্রার্থনা করতেও বলেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।