সম্প্রতি কাজাখস্তানের সিআইসিএ এর শীর্ষ সম্মেলনে পাকিস্তানকে এক হাতে নিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি । বলেন সিআইসিএ তে এসে বিভ্রান্তিকর বক্তৃতা না দিয়ে পাকিস্তানের উচিত এখন "নিজেদের ঘর সাজানো "
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি, সম্প্রতি কাজাখস্তানের সিআইসিএ এর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে এক বক্তৃতায় পাকিস্তানকে এক হাতে নিলেন। পাকিস্তানকে রীতিমতো তুলোধনা করে তিনি বলেন বর্তমানে সমগ্র বিশ্বের সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। এমনকি তিনি এও বলেন যে ভারতবিরোধী যে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ বহুবছর ধরে জিইয়ে রেখেছে পাকিস্তান , তা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। ভারত তার সমস্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সাথেই সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। কিন্তু ইসলামাবাদে যেভাবে সন্ত্রাসবাদের পরিকাঠামো বিদ্যমান তা অবিলন্বে বন্ধ করার জন্য কড়া ভাষায় সতর্কবার্তা দেন লেখি। কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করেও তিনি বলেন , এবিষয়ে কোনোরকম কোনো মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। শুধু এখানেই থিম না থেকে তিনি আরও বলেন , " পাকিস্তান যেভাবে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রচার করছে -সেটা সত্যিই ভীষণ দুর্ভাগ্যজনক আর এটা দেখে আরও খারাপ লাগছে কিভাবে পাকিস্তান সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে বিভ্রান্ত করার জন্য মূল আলোচনা থেকে সরে যাচ্ছে এবং এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য তারা সিআইসিএ এর প্লাটফর্মকে বেছে নিয়েছে।
১৯৯৯ সালে সিআইসিএ সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে এক বিশেষ নীতি জারি করে সিআইসিএ। সেই নীতির রেশ টেনেই ভারতের সার্বভৌমত্ব , এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলি নিয়ে পাকিস্তান যে অসঙ্গতিপূর্ণ মন্তব্য করেন তা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় বলেই মনে করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি। তিনি এর পাল্টা জবাবেই বলেন পাকিস্তানের উচিত তাদের দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি অমানবিক আচরণ না করে বা সিআইসিএ তে এসে এধরণের বক্তৃতা না দিয়ে , নিজেদের ঘর সাজানো " কারণ পাকিস্তান এমনই একটি দেশ যেখানে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা পরিকল্পিতভাবে নির্যাতিত হয় । এরপর খানিক কটাক্ষের সুরেই মীনাক্ষী বলেন ," সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়গুলিতে আক্রমণ ও ভাঙচুরের "ঘনঘন ঘটনা" এবং সংখ্যালঘুদের নাবালিকা মেয়েদের অপহরণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ এবং বিবাহের "অগণিত ঘটনাই " বিশ্বের মানচিত্রে দেশ হিসেবে পাকিস্তানের সুরক্ষিত অবস্থার কথাই প্রমান করে।