বেঙ্গালুরু সেক্স স্ক্যান্ডেল মামসায় আরও বিপাকে পড়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার পরিবার। সম্প্রতি দেবেগৌড়ার ছেলে ও নাতির বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে।
শেষপর্যন্ত বেঙ্গালুরু পুলিশের হাতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়ার ছেলে তথা জেডিএস বিধায়ক এইডি রেভান্না। মহিলাকে অপহরণ মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল। বেঙ্গালুরুর কেআর নগর থানায় এইডি রেভান্নার বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। একজন তরুণের অভিযোগের ভিত্তিতেই দায়ের করা হয়েছে এই মামলা। তরুণের অভিযোগ ছিল তাঁর মাকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।
বেঙ্গালুরু সেক্স স্ক্যান্ডেল মামসায় আরও বিপাকে পড়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার পরিবার। সম্প্রতি দেবেগৌড়ার ছেলে ও নাতির বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। শুধুতাই নয়, বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তারপরই কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছে।
এইচডি রেভান্না হাসান লোকসভা কেন্দ্রের এনডিএ প্রার্থী। এই কেন্দ্রে গত ২৬ এপ্রিল ভোট গ্রহণ হয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বরই দেবেগৌড়া সপরিবারে এনডিএতে যোগ দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই হোলেনরসিপুরা থানায় পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বরার বক্তব্য অনুযায়ী বুধবার রাতে আরও একটি অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে দায়ের করা এই সর্বশেষ মামলায় মহীশূর জেলার কৃষ্ণরাজা নগর এলাকায় ২০ বছর বয়সী অভিযোগকারী বলেছেন, তাঁর মাকে রেভান্না অপহরণ করেছিল। তিনি আরও বলেছেন, ৬ বছর আগে তাঁর মা হোলেনরসিপুরে রেভান্নার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। তিন বছর আগে উত্যক্ত হয়ে চাকরি ছেড়ে নিজের শহরে ফিরে আসেন। তিনি আরও বলেছেন, দিন পাঁচেক আগে রেভান্নার আস্থাভাজন সতীশ বাবান্না তাঁদের বাড়িতে এসে হুমকি দিয়েছিল। বলেথিল পুলিশ তদন্তের জন্য তাদের কাছে আসতে পারে। গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিতেও নির্দেশ দিয়েছিল।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়ার ছেলে ও নাতির বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারি ভিডিও ঘিরে তোলপাড় দেশ। শুরু হয়েছে যথেষ্ট আলোচনা। প্রজ্বল রেভান্না দেবেগৌড়ার নাতি। আর প্রজ্বলের বাবা এইচডি রেভান্না বলেন দেবেগৌড়ারর ছেলে। এক মহিলা বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছে। মহিলা তাদের বাড়ির পরিচারিকা ছিলেন। নানা অজুহাতে দুজনেই তাঁকে হেনস্থা করতেন বলেও অভিযোগ করেছেন। কাজে যোগদানের প্রায় চার মাসের মধ্যেই মহিলাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হত বলেও অভিযোগ। মহিলা সর্বদাই আতঙ্কে থাকতেন। মহিলার কথায় বাড়ির মহিলারা যখন বাড়ি থাকতেন না তখনও যৌন নির্যাতন চালান হত। মহিলাকে প্রয়োজনে স্টোররুমে ডাকা হত। সেই সময় মহিলার শাড়ির পিন খুলে দেওয়া হত। মহিলা সর্বদাই আতঙ্কে থাকতেন। কখন তাঁর ডাক পড়ে।