সাংবাদিকদের মুখোমুখি বলে ডিকে শিবকুমার কিছুটা অভিমানের সুরেই বললেন, তিনি কারও সমর্থন চান না। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি একজন একাকী মানুষ।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে সিদ্দারামাইয়ার থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন ডিকে শিবকুমার। অভিমানী ডিকে সোমবার দিল্লি যাওয়া বাতিল করেছেন। যদিও তিনি জানিয়েছেন তাঁর পেটের সমস্যার জন্য তিনি নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করেছেন, কিন্তু ঘনিষ্টরা বলছে অন্যকথা। যাইহোক দিনভর কর্ণাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ কার সেই নিয়ে জোর জল্পনা চলেছে। তারই মধ্যে দিল্লি উড়ে গেছেন সিদ্দারামাইয়া। তারপরই থেকেই ডিকে-র রণে ভঙ্গ দেওয়ার পরিস্থিতি।
যদিও সন্ধ্যেবেলা সাংবাদিকদের মুখোমুখি বলে ডিকে শিবকুমার কিছুটা অভিমানের সুরেই বললেন, তিনি কারও সমর্থন চান না। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি একজন একাকী মানুষ। তিনি আরও বলেছেন, তিনি পুরোপুরি একা। কারণ তাঁর কোনও নম্বর নেই। এদিনই সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, তাঁর পক্ষেই কংগ্রেসের নবনির্বাচিত বিধায়কদের অধিকাংশের সমর্থন রয়েছে। এরই উত্তর দিতে গিয়ে নাম না করে সিদ্দারামাইয়ার তীব্র সমালোচনা করেন ডিকে। তিনি বলেন, 'আমার কোনও নম্বর নেই। আমি ব্যক্তিপুজো অনুসরণ করি না। আমি দলের উপাসনা করি। আমার ১৩৫ জন রয়েছে। আমি পার্টির সভাপতি। ১৩৫ জন বিধায়কই আমার বিধায়ক।'
মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হল ডিকে বলেন, তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। যারা যা খুশি আলোচনা করুন। তিনি কাউকে বিরক্ত করবেন না। কারও প্রশ্নের কোনও উত্তর দেবেন না বলেও জানিয়েছএন ডিকে। আরও বলেন, 'আমার হাতে সময় আছে, ধৈর্য আছে। আমি লড়ই করতে ভয় পাই না।' ডিকে আরও বলেছেন, তিনি দলের গোপন ব্যালট আর বিধায়কদের মতামত সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আর জানতে চান না।
ডিকে শিবকুমার বলেন, 'আমার কোনো বিধায়ক নেই, বিধায়কদের মতামত কী তা আমি জানি না...আমার ১৩৫ জন বিধায়ক এবং একজন সহযোগী সদস্য আছে, তাই আমাদের এখন মোট ১৩৬ জন বিধায়ক আছে, তারা কংগ্রেস দলের বিধায়ক...আমরা একটি পাস করেছি। রেজুলেশন যে আমরা হাইকমান্ডকে অনুমোদন দিয়েছি। হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেবে'।
অন্যদিকে দিল্লিতে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে গেছেন কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। আজই রওনা হয়েছেন। আজই তিনি দিল্লিতে দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাকা করে ফেলতে চাইছেন। কারণ কর্ণাটক ছাড়ার আগে সিদ্দারামাইয়া সাংবাদিকদের জানিয়ে এসেছেন, দলের অধিকাংশ বিধায়কই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁকেই চেয়েছেন। যদিও এই বিষয়, নিয়ে মুখ খোলেননি কর্ণাটকের নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেস নেতৃত্ব। কারণ রণদীপ সুরজেওয়ালা ও সুশীল কুমার শিন্ডে দুজনেই ভোট গণনার দিন থেকে সেখানেই ছিলেন। শিন্ডে এদিন জানিয়েছেন, 'আমাদের রিপোর্ট ( কংগ্রেসের নবনির্বাচিত বিধায়ক বিধায়কদের প্রতিক্রিয়া ও তাদের মতামত) অত্যান্ত গোপনীয়। যা আমরা কেউ প্রকাশ করতে পারি না। এই রিপোর্ট জনসমক্ষে আনতে পারেন একমাত্র দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।' তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে শিবকুমার ও সিদ্দারামাইয়া দুজনকেই দিল্লিতে তলব করা হতে পারে।