শপিং মলে গিয়ে কেনা-কাটা করার জন্য টাকা-পয়সার পর সবথেকে বেশি যেটা প্রয়োজন, তা হল শপিং ব্যাগ। কিন্তু সম্প্রতি এই শপিং ব্যাগের জন্য দাবি করা হয় অতিরিক্ত মূল্য। এইসমস্ত ক্যারিব্যাগের দাম ৫ টাকা থেকে শুরু করে ২০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ক্রেতাদের অতিরিক্ত এই মূল্য দিয়ে তবেই কিনতে হত সেই সব ক্যারি ব্যাগ।
কিন্তু এবার থেকে তা আর করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল গুয়াহাটি হাইকোর্ট। অর্থাৎ কোনও প্রতিষ্ঠান আর অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ক্রেতাদের ক্যারিব্যাগ বিক্রি করতে পারবে না। আর কোনও প্রতিষ্ঠান যদি ক্যারিব্যাগের জন্য অতিরিক্ত মূল্য দাবি করে তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা বাবদ দিতে হবে ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা। সম্প্রতি গুয়াহাটি হাইকোর্ট এবং কনজিউমার কোর্টের আইনজীবি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, ২০১৮ সাল থেকেই ক্যারি ব্যাগের জন্য ক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা বেআইনি হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। প্লাস্টিক বা কাগজ বা অন্য যে-কোনও ধরণের ব্যাগের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান এখনও ক্যারিব্যাগের জন্য এই অতিরিক্ত অর্থ দাবি করেন। কিন্তু এই বিষয়ে কেউ যদি ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তাহলে, তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি গুয়াহাটির শপিং মলের জুতোর দোকানে এমনই এক ঘটনা ঘটে। ওই প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে জোর করে এক ক্রেতার কাছ থেকে ক্যারিব্যাগের জন্য অর্থ আদায় করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। যার প্রতিবাদ করলেও কোনও লাভ না হওয়ায় ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি।
প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের এই অতিরিক্ত মূল্য নিয়ে এর আগেও অনেক মানুষই সরব হয়েছেন। বহু মানুষের দাবি ছিল, কেন কোনও প্রতিষ্ঠানের নাম লেখা ক্যারি ব্যাগ কেনার জন্য ক্রেতার থেকে অতিরিক্ত মূল্য দাবি করা হবে। অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে যদি ব্যাগ কিনতেই হয় তাহলে কোনও প্রতিষ্ঠানের নুাম লেখা ব্যাগ নয়, সাধারণ ব্যাগ কিনতে ই পারে ক্রেতারা। কেন কোনও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিজেদের বিপণন করার জন্য কেন ক্রেতাদের মূল্য চোকাতে হবে এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এর আগে সরব হয়ে উঠেছিলেন সাধারণ মানুষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে খুবই আশাজনক বলে মনে করা হচ্ছে।