হায়দরাবাদের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। জনতার আদালতে অভিযুক্তদের বিচারের দাবি উঠেছে। তার পরেও বিকৃত যৌন লালসা চরিতার্থ করার প্রবণতায় লাগাম নেই। এবার রাজস্থানের জয়পুরে ছ' বছরের একটি শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে টংক জেলার আলিগড় থানা এলাকায়।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, শনিবার বিকেল থেকেই ওই শিশুকন্যাটি নিখোঁজ ছিল। রবিবার সকালে একটি ঝোপের মধ্যে থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। যদিও এই ঘটনায় এখনও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
শনিবার নিজের স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়েছিল প্রথম শ্রেণির ওই ছাত্রীটি। সেখান থেকেই বিকেল তিনটে নাগাদ বেরিয়ে বাড়ির দিকে যায় সে। তার পর থেকে ওই শিশুকন্যা নিখোঁজ ছিল। বেশ কিছুক্ষণ পরেও সে বাড়ি না পৌঁছনোয় জোরদার তল্লাশি শুরু হয়। যদিও তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আলিগড় থানার তদন্তকারী অফিসার জগ্গু রাম ওই ইংরেজি দৈনিককে জানিয়েছেন, রবিবার সকালে একটি ঘন ঝোপের মধ্যে থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। নির্যাতন চালানোর পর বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
হত্যার আগে যে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত তদন্তকারীরা। তবে এক নাকি একাধিক ব্যক্তি মিলে যৌন নির্যাতন চালিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ঘটনার নির্মমতায় গোটা গ্রাম তো বটেই, পুলিশকর্মীরাও হতবাক। তদন্তকারী ওই অফিসার বলেন, 'কয়েক দশক ধরে পুলিশে চাকরি করলেও এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়নি। ঝোপের মধ্যে ওই শিশুটির পড়ে থাকার দৃশ্য আমাদেরও নাড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশে চাকরি করলেও এই মানসিক ধাক্কা সামলে উঠতে আমারও বেশ কিছুটা সময় লাগবে।'
যেহেতু স্কুল থেকে বেরনোর পরে ছাত্রীটিকে আর কেউ দেখেননি, তাই এই জঘন্য অপরাধের পিছনে কে বা কারা রয়েছে, সেই সূত্র এখনও পায়নি পুলিশ। ময়নাতদন্তের পরে দেহটি শিশুটির পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পকসো আইনের পাশাপাশি আইপিসি বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
এমন নৃশংসতার পরে প্রশ্ন উঠতেই পারে, শুধু কি কড়া আইনের ভয় দেখিয়ে এমন জঘন্য অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোখা যাবে, নাকি বিকল্প কোনও উপায় ভাবতে হবে সরকার আর প্রশাসনকে।