গত কয়েক বছরে একের পর এক রাজ্যে বিজেপি তথা অমিত শাহ-এর রথ একেবারে অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো দৌড়েছে। কিন্তু মহারাষ্ট্রে শিবসেনা সেই ঘোড়ার রশি টেনে ধরেছে। সরকার গড়েও ধরে রাখতে না পেরে মুখ পুড়েছে। সামনে কঠিন পরীক্ষা ঝাড়খণ্ড। প্রথম দফা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। ৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফার ভোট। তার পাঁচদিন আগে ঝাড়খণ্ডে এসে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফেললেন রামমন্দির তাস।
এদিন ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরের এক সভায় অমিত শাহ বলেন, গত ৫ বছরে নরেন্দ্র মোদী সরকার এবং রঘুবর দাস সরকার ঝাড়খণ্ড থেকে নকশালবাদ উৎখাত করে উন্নয়নের পথকে সাফ করেছে। একই সঙ্গে তিনি ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার জোটকে কটাক্ষ করেন। বলেন, ক্ষমতার তৃষ্ণায় জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন এখন কংগ্রেসের কোলে বসেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার দখলই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। কংগ্রেসও শুধু ক্ষমতার প্রত্যাশী। কিন্তু বিজেপির উদ্দেশ্য হল রাজ্যকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
ঝাড়খণ্ডের ভোট প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাশ্মীর প্রসঙ্গও টেনে আনেন। বলেন, ঝাড়খণ্ড চায় কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হোক। ঝাড়খণ্ড চায় সন্ত্রাসের অবসান। নকশালবাদের অবসান। আর এরপরই তিনি তোলেন অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কথা। জানান, তিনি নিশ্চিত সারা দেশের মতো ঝাড়খণ্ডও অযোধ্যায় রামমন্দির হোক তাই চেয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস-কেও নিশানা করেন অমিত শাহ। দাবি করেন, কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টে রাম জন্মভূমি মামলার গতি মন্থর করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি মামলার প্রক্রিয়ায় দ্রুততা আনার জন্য চাপ দিয়েছিল। আর এর ফলেই আদালত রামলালার পক্ষে রায় দিয়েছে। এখন অযোধ্যায় রামলালার একটি আকাশ-ছোঁয়া মন্দির হবে।