নয়া নিয়ম জারি পুরীতে।
এই দুদিন চাইলেই যেকোনও পথ দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না সাধারণ ভক্তরা। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ এবং বেরোনোর জন্য মোট চারটি পথ রয়েছে। বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণের দিন, সাধারণ ভক্তরা কেবলমাত্র মন্দিরের সিংহদ্বার দিয়েই প্রবেশ করতে পারবেন।
তবে বাকি তিনটি দরজা ব্যবহৃত হবে বেরোনোর জন্য। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কেবল সাধারণ ভক্তদের জন্যই এই নিয়ম কার্যকর করা হবে। মন্দিরের সেবায়েত বা তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য অবশ্য তা বলবৎ করা হচ্ছে না।
বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণের দিনে মন্দিরে ভক্তদের ভিড় তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ারই প্রবল সম্ভাবনা। মন্দির দর্শনের সময়ে কোথাও যাতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেই জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা। সেইসঙ্গে, পুরী জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের তরফ থেকেও আগাম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
সিংহদ্বার থেকে শহরের বাজার এলাকা পর্যন্ত রাস্তায় ব্যারিকেড করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে ভক্তেরা শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন।
এই প্রসঙ্গে, ওড়িশার ডিআইজি (সেন্ট্রাল) চরণসিংহ মীনা জানিয়েছেন, এই দুদিন পুরীর জগন্নাথধামে নিরাপত্তা এবং ভিড় সামলানোর জন্য ৬০ প্ল্যাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হবে। সাধারণত এক একটি প্ল্যাটুনে ৩০ জন করে পুলিশকর্মী থাকেন। সেক্ষেত্রে মোতায়েন হওয়া পুলিশকর্মীদের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজারের আশপাশে হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
অনদিকে, জগন্নাথ মন্দিরে ভিড় সামলানোর দায়িত্বে থাকবেন অন্তত ১০ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৩৩ জন ডেপুটি পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক। অন্যদিকে, ছিনতাইবাজদের রোখার জন্য মন্দিরের ভিতরে মোতায়েন থাকবে পুলিশের দুটি পৃথক দল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।