
Sonam Wangchuk: পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসাজশের ভিত্তিতে ষড়যন্ত্র করেই লেহ-তে হিংসা (Violence in Leh) ছড়ানোয় উস্কানি দিয়েছেন সোনম ওয়াংচুক। এমনই জানালেন লাদাখের (Ladakh) ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (Director General of Police) এস ডি সিং জামওয়াল (SD Singh Jamwal)। তিনি সংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, 'আমরা একজন পাকিস্তান পিইও-কে (Pakistan PIO) গ্রেফতার করেছি। সম্প্রতি সে নানা ধরনের কার্যকলাপ চালাচ্ছিল। আমাদের কাছে সে সবের প্রমাণ আছে। সোনম ওয়াংচুক পাকিস্তানে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশেও (Bangladesh) গিয়েছিলেন। ফলে তাঁকে নিয়ে বড় প্রশ্ন আছে। তদন্ত করা হচ্ছে। সোনম অতীতেও হিংসায় উস্কানি দিয়েছেন। তিনি আরব বসন্ত (Arab Spring), নেপাল (Nepal) ও বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বেআইনিভাবে বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে অনুদান নিয়েছেন। সেই ঘটনারও তদন্ত চলছে।' সোনমকে শুক্রবার জাতীয় নিরাপত্তা আইনে (National Security Act) গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে রাজস্থানের (Rajasthan) জোধপুর সেন্ট্রাল জেলে (Jodhpur Central Jail) সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
লাদাখের ডিজিপি দাবি করেছেন, ২৪ সেপ্টেম্বর লেহ-তে হিংসায় উস্কানি দেন সোনম। সেই সময় এই সমাজকর্মী ও শিক্ষা সংস্কারক অনশনে বসেছিলেন। তাঁর এই আন্দোলন থেকেই হিংসা ছড়ায় বলে দাবি পুলিশের। লেহ-তে হিংসাত্মক বিক্ষোভে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয় এবং অন্তত ৮০ জন জখম হন। বিক্ষোভকারীরা বিজেপি (BJP) দফতরে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশের পাশাপাশি লাদাখ প্রশাসনও দাবি করেছে, সোনমের প্ররোচনামূলক বক্তব্যের মাধ্যমেই অশান্তি ছড়ায়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কিছু গোষ্ঠীর কার্যকলাপের ফলেও হিংসা ছড়ায়। লাদাখি (Ladakhi) প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনা চলায় সেই গোষ্ঠীগুলি অখুশি। এই কারণেই তারা হিংসা ছড়াচ্ছে।
লেহ-তে হিংসার ঘটনা নিয়ে লাদাখের ডিজিপি আরও জানিয়েছেন, ‘তদন্ত চলাকালীন আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারাও বিদেশি চক্রান্তে সামিল কি না সে কথা আমি বলতে পারব না। এখানে নেপালের অনেক নাগরিকই শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। ফলে আমাদের তদন্ত করতে হবে।’
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।