দুর্নীতির মূলে দেশের নির্বাচন, ক্ষোভ প্রকাশ করে ইস্তফা অধ্যক্ষ রমেশ কুমারের

  • কর্ণাটকে ধ্বনি ভোটে জয়ী ইয়েদ্দুরাপ্পা 
  • এর পরেই ইস্তফা অধ্যক্ষ রমেশ কুমারের
  • দুর্নীতি নিয়ে সরব হলে বিদায়ী অধ্যক্ষ
  • পরামর্শ দিলেন নতুন মুখ্যমন্ত্রীকেও

debamoy ghosh | Published : Jul 29, 2019 8:03 AM IST

ধ্বনি ভোটে ইয়েদ্দুরাপ্পা সরকারের জয়ের পরেই কর্ণাটক বিধানসভার অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রমেশ কুমার। ইস্তফা দিয়ে তিনি বলেন, চেয়ার সম্মান রেখে সংবিধান মেনেই সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি রোধে দেশের নির্বাচনী আইনেও সংস্কার প্রয়োজন বলে এ দিন মন্তব্য করেছেন রমেশ কুমার। 

কর্ণাটকে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে চর্চায় ছিলেন অধ্যক্ষ রমেশ কুমার। বিদ্রোহী বিধায়কদের পদত্যাগপত্র তিনি  গ্রহণ না করায় মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। পরবর্তী সময়ে বিদ্রোহী বিধায়কদের সদস্যপদই বাতিল করে দেন রমেশ কুমার। শেষ পর্যন্ত নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পরেই ইস্তফা দিলেন তিনি। 

আরও পড়ুন- ধ্বনি ভোটে জিতলেন ইয়েদুরাপ্পা, আপাতত ছ' মাসের জন্য নিশিন্ত কর্ণাটকবাসী

এ দিন ইস্তফা দিয়ে রমেশ কুমার বলেন, 'কংগ্রেস- জেডিএস জোট সরকার গঠন হওয়ার পরে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং কে সি বেণুগোপাল আমাকে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসতে বলেছিলেন। তাই আমি রাজি হয়েছিলাম। বিজেপি নেতা ইয়েদ্দুরাপ্পাও আমাকে ফোন করে সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন। সেই কারণে সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।'
এর পরেই কিছুটা ক্ষোভের সঙ্গে রমেশ কুমার বলেন, এ দেশে দুর্নীতির বীজ লুকিয়ে রয়েছে নির্বাচনের মধ্যে। নির্বাচনী আইনে সংস্কার না করে দুর্নীতি বন্ধের কথা বললে তা স্বার্থপরের মতো দাবি করা হবে। নির্বাচনী সংস্কারের জন্য কর্ণাটক বিধানসভা থেকে ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি প্রস্তাব সংসদে পাঠানোর জন্যও অনুরোধ করেন রমেশ কুমার। তিনি স্পষ্ট বলেন, বর্তমান যে নির্বাচনী আইন রয়েছে, তা দল বিরোধিতা রুখতে যথেষ্ট নয়। 

ইয়েদ্দুরাপ্পাকে উদ্দেশ করে কার্যত কটাক্ষ করেই তিনি বলেন, 'এর আগেও আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে আমি যা বলেছি, আবারও তা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। যখন আপনার হাতে ক্ষমতা থাকে, তখন মানুষ আপনার আশপাশে অনেককেই পাবেন। কিন্তু তাই বলে এই ভ্রান্ত ধারণার মধ্যে থাকবেন না যে এঁরা প্রত্যেকেই আপনার শুভাকাঙ্খী।'
 

Share this article
click me!