চাকরিতে সংরক্ষণের দাবিতে কর্ণাটকে বনধ, তিরুপতি-ম্যাঙ্গালুরু বাসে পাথর সমর্থকদের

  • কন্নড়ভাষীদের জন্য চাকরিতে সংরক্ষণ
  • সংরক্ষণনের দাবিতে ১২ ঘণ্টার বনধ
  • ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কন্নড়পন্থী সংগঠনগুলি
  • দাবিগুলি নিয়ে বৈঠকে বসার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার

Asianet News Bangla | Published : Feb 13, 2020 5:36 AM IST

কন্নড়ভাষী মানুষদের জন্য চাই চাকরিতে সংরক্ষণ। এই দাবিতেই বৃহস্পতিবার কর্ণাটকে বনধের ডাক দিয়েছে  কন্নড়পন্থী বেশ কয়েকটি সংগঠন। যদিও ১২ ঘণ্টার ডন্য ডাকা এই সাধারণ ধর্মঘটে তথ্যপ্রযুক্তি নগরী বেঙ্গালুরুর জনজীবন মোটের উপর স্বাভাবিক রয়েছে।

ধর্মঘট সমর্থকদের দাবি তিন দশক পুরনো সরোজিনী মহিষী রিপোর্টের বাস্তবায়ন করতে হবে কর্ণাটক সরকারকে। যেখানে কন্নড় ভাষাভাষীদের জন্য সরকার ও বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরিতে নির্দিষ্ট শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে। কন্নড়পন্থী একাধিক সংগঠন এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছে। 

তবে সকাল থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি নগরী বেঙ্গালুরুর জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে তৎপর ছিল কর্ণাটক সরকার। সকাল থেকেই স্বাভাবিক ছিল মেট্রো পরিষেবা। খোলা ছিল শহরের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলিও। তবে অটো ও ট্যাক্সির সংখ্যা রাজপথে তুলনামূলক ভাবে ছিল কম। ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা পিছিয়ে দেয় ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়। 

ট্যাক্সি ও অটোর সংখ্যা কম থাকায় বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে এদিন যাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হয়। রেলস্টেশন, কেআর মার্কেটর মত শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে গণ্ডগোল এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। যদিও সরকারি বাস চলেছে স্বাভাবিক ভাবেই। 

সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে কন্নড়পন্থী সংগঠনগুলি। মোটের উপর রাজ্যের পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গেছে। ম্যাঙ্গালুরু থেকে তিরুপতিগামী একটি বাসে পাথর ছুড়ে মারে একদল বনধ সমর্থক। ফরঙ্গিপেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

এদিকে ধর্মঘটীদের বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কন্নড়পন্থীদের দাবি নেয় তাঁর সরকার যথেষ্ট সচেতন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও অশান্তি এড়াতে এদিন কন্নড়পন্থী নেতা প্রবীণ শেট্টিকে গৃহবন্দি করে রাখে কর্ণাটক সরকার।

Share this article
click me!