গোসেবা করতে গিয়ে খোয়া গেল ৪০ গ্রাম সোনা, এখন গোবরই ভরসা গয়নার মালিকের

  • হরিয়ানার রান্নাঘরের বর্জ্রের সঙ্গে ৪০ গ্রাম সোনার গয়না খেয়ে ফেলল একটি ষাঁড়
  • পাঁচ ঘন্টা ঘুরে ষাঁড়টিকে ধরে আনল পরিবার
  • তারপর থেকে তাঁকে প্রচুর পরিমাণে খাওয়ানো হচ্ছে
  • কিন্তু গত তিনদিন ধরে একবারও মলত্যাগ করেনি ষাঁড়টি

amartya lahiri | Published : Oct 25, 2019 2:56 PM IST

ঘটনার সূত্রপাত দিন চারেক আগে। জনকরাজ নামে স্থানীয় এক ব্যযবসায়ীর বাড়িতে ঘটে এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, তাঁর স্ত্রী এবং শালি এক অনুষ্ঠান থেকে ফিরে তাঁদের সোনার গয়নাগুলি খুলে রান্নাঘরে একটি পাত্রের মধ্য়ে রেখে দিয়েছিলেন। তারমধ্য়ে কানের দুল, গলার চেন ও আরও বেশ কিছু অলঙ্কার ছিল। পরে সেই পাত্রেই সবজির খোসা ফেলেন। এরপর বাড়ির কাছাকাছি ষাঁড়টি এলে তাকে ওই খোসাগুলি খেতে দেওয়া হয়।


কথায় বলে ছাগলে কী না খায়। কিন্তু হরিয়ানার সাম্প্রতিক এক ঘটনা বলছে একই কথা প্রযোজ্য ষাঁড়ের ক্ষেত্রেও। সিরসা জেলার এক গ্রামে আনাজের খোসা ইত্যাদির সঙ্গে একটি ষাঁড় প্রায় ৪০ গ্রাম সোনার গয়নাও খেয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ। আপাতত ষাঁড়টিকে প্রচুর খাওয়ার দিয়ে চলেচে ওই পরিবার। কিন্তু গয়না এখনও হহাতে আসেনি।

ঘটনার সূত্রপাত দিন চারেক আগে। জনকরাজ নামে স্থানীয় এক ব্যযবসায়ীর বাড়িতে ঘটে এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, তাঁর স্ত্রী এবং শালি এক অনুষ্ঠান থেকে ফিরে তাঁদের সোনার গয়নাগুলি খুলে রান্নাঘরে একটি পাত্রের মধ্য়ে রেখে দিয়েছিলেন। তারমধ্য়ে কানের দুল, গলার চেন ও আরও বেশ কিছু অলঙ্কার ছিল। পরে সেই পাত্রেই সবজির খোসা ফেলেন। এরপর বাড়ির কাছাকাছি ষাঁড়টি এলে তাকে ওই খোসাগুলি খেতে দেওয়া হয়।

পরে গয়নার কথা মনে হওয়ার খোঁজ করতে  গিয়ে রান্নাঘরের দরদজার কাছে একটিমাত্র দুল পাওয়া যায়। এরপর গয়নার সন্ধানে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয়। তাতেই ওই পরিবার জানতে পারে সোনার গয়নাগুলি সবজির খোসার সঙ্গে উদরস্থ করেছে ওই ষাঁড়। কিন্তু সে রাস্তার ষাঁড়। জানা গিয়েছে পরের পাঁচ ঘন্টা ধরে এদিক সেদিক খুঁজে ষাঁড়টিকে খুঁজে বের করে হরিয়ানার ওই পরিবার।    

তারপর থেকে ওই বাড়িতেই রয়েছে ষাঁড়টি। পরিবারের পক্ষ থেকে ষাঁড়টিকে গত তিনদিন ধরে প্রচুর পরিমানে খাওয়ানো হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, সে মলত্যাগ করলে, তার সঙ্গেই বেরিয়ে আবে গয়না। কিন্তু জানা গিয়েছে গত তিনদিন ধরে যাঁড়টি একবারও মলত্যাগ করেনি।

এদিকে লালা লাজপত রায় বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রাণী বিজ্ঞানের অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর রবিন্দর শর্মা জানিয়েছেন, ষাঁড়টির পেটের এক্সরে করে আগে গয়না আদৌ তার পেটেই আছে কিনা তা জানতে হবে। যদি থাকে, তাহলে তার অবস্থান চিহ্নিত করতে হবে। প্রয়োজন হলে অপারেশনের সাহায্য নিতে হবে। আর গোবরের মাধ্যমে গয়না উদ্ধার? রবিন্দর শর্মা জানিয়েছেন, প্রক্রিয়াটি জটিল, তবে অসম্ভব নয়।

 

Share this article
click me!