মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে এখন বিধায়কদের ভিআইপি সুবিধা দেওয়া হবে না। তিনি বলেছেন যে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার বিধায়করাও সাধারণ নাগরিকদের মতো অর্থ ব্যয় করবেন।
হিমাচল প্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু কাজ শুরু করেছেন। সিএম সুখুর মতে, অনেক অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। এখন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জলশক্তি দপ্তরের দিকে নজর দিয়েছেন। গত ৬ মাসে জারি করা সব দরপত্রের রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি। এছাড়া গত ৬ মাসে যেসব কাজের ভিত্তিপ্রস্তর ও উদ্বোধন করা হয়েছে, সে সব কাজের রিপোর্ট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে এখন বিধায়কদের ভিআইপি সুবিধা দেওয়া হবে না। তিনি বলেছেন যে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার বিধায়করাও সাধারণ নাগরিকদের মতো অর্থ ব্যয় করবেন। এ ছাড়া হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু সুনীল শর্মাকে তাঁর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। সুনীল শর্মার মর্যাদা ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান হবে। সোমবার দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি জানান, শিগগিরই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হবে।
৬ মাসে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনের বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে
মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু আদেশ জারি করেছেন যে জলশক্তি বিভাগের অধীনে গত ছয় মাসে প্রবর্তিত সমস্ত দরপত্রের একটি বিশদ প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এছাড়া গত ৬ মাসে কয়টি স্কিম উদ্বোধন করা হয়েছে এবং কয়টি স্কিম সমাপ্ত ও উদ্বোধন করা হয়েছে তা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিভাগকে জানাতে হবে বলেও জানান তিনি।
হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অর্থ সংগ্রহ করা। কংগ্রেসের দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে প্রতি বছর কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। হিমাচল প্রদেশ এমনিতেই ঋণে জর্জরিত। কংগ্রেস তার ইস্তেহারে মহিলাদের প্রতি দেড় হাজার টাকা এবং প্রতিটি বাড়িতে ৩০০ ইউনিট বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, বহু বছর পর বীরভদ্র সিংহ এবং তাঁর পরিবারের বাইরে কেউ হিমাচলে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হলেন। গুজরাটে শোচনীয় ব্যর্থতার পর হিমাচলের জয় কংগ্রেসের মুখরক্ষা করেছিল। কিন্তু দলের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পদের একাধিক দাবিদার তৈরি হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়তে হয় কংগ্রেসকে। বীরভদ্রের স্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী প্রতিভা প্রয়াত স্বামীর স্মৃতি উস্কে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁকে বা তাঁর বিধায়কপুত্র বিক্রমাদিত্যকে বসানোর দাবি জানান। কিন্তু কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের তরফে সুখুর নামেই সিলমোহর দেওয়া হয়।
সে দিনের এই অনুষ্ঠানে সুখু জানান যে তিনি খুব খুশি এই ভেবে যে সাধারণ পরিবার থেকে এসে তিনি হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছেন। এমনকি তাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য কংগ্রেস পার্টি এবং গান্ধী পরিবারকে কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি।