হায়দরাবাদ এনকাউন্টার মামলায় তদন্তের নির্দেশ, তিন সদস্যের কমিশন গঠন সুপ্রিম কোর্টের

  • হায়দরাবাদ এনকাউন্টার মামলায় নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
  • তথ্য-প্রমাণ খতিয়ে দেখবে তিন সদস্যের কমিশন
  • কী ঘটেছিল, জানার অধিকার আছে সকলেরই
  • শুনানিতে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির
     

হায়দবাবাদ গণধর্ষণে চার অভিযুক্ত এনকাউন্টারে খতম। পুলিশের ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত সকলেই। কিন্ত ঠিক কী ঘটেছিল? তা কিন্তু স্পষ্ট নয়। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।  হায়দরাবাদ এনকাউন্টারের তদন্তে প্রাক্তন বিচারপতি ভিএস শিরপুরকরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিশনও গঠন করেছে শীর্ষ আদালত। সিসিটিভি-সহ যাবতীয় তথ্য ও প্রমাণ খতিয়ে দেখে ছয় মাসের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে কমিশনকে। 

আরও পড়ুন: তৈরি হচ্ছে ফাঁসির দড়ি, নির্ভয়া গণধর্ষণের দিনই কি ফাঁসি দোষীদের

Latest Videos

হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মেরে ফেলার ঘটনার শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশ। দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে যখন ক্ষোভে ফুঁসছিলেন সাধারণ মানুষ, ঠিক তখনই ঘটনাস্থলেই কাছে এনকাউন্টারে নিহত হয় চার অভিযুক্ত। পুলিশের বক্তব্য, ঘটনার দিনে জনরোষের হাত থেকে বাঁচাতে চার অভিযুক্তকে ঘটনাস্থল অর্থাৎ হায়দরাবাদের শাদনগর থানার চাতানপল্লী গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় চার অভিযুক্তকে। কিন্তু ভোররাতে যখন ঘটনা পুনর্নিমাণের কাজ চলছিল, তখন পুলিশকর্মীদের উপর চড়াও হয় অভিযুক্তেরা। বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালাতে হয় পুলিশকর্মীদের। আর তাতেই মারা যায় হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডের চার অভিযুক্তরা। কিন্তু সত্যিই কি তাই ঘটেছিল? প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকার কর্মীদের একাংশ। তেলেঙ্গানা পুলিশের বিরুদ্ধে বিচারধীন চার বন্দিকে খুনের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।  বৃহস্পতিবার মামলাটি শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন,  'কী ঘটেছে তা জানার অধিকার রয়েছে সকলেরই। '

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে দেশের বিরুদ্ধে ভুয়ো এনকাউন্টারের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে  কখন, কোন পরিস্থিতিতে অপরাধী বা অভিযুক্তদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো যাবে?  সে সম্পর্কে একটি গাইডলাইনও তৈরি করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। সেই গাইডলাইন অনুযায়ী, খোলা জায়গায় অভিযুক্তদের সঙ্গে নিয়ে যদি ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হয়, সেক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেকের হাতে হাতকড়া থাকা বাধ্যতামূলক। অপরাধী বা অভিযুক্তদের রাখতে হবে সশস্ত্র পুলিশের ঘেরাটোপে।  তবে তারা যাতে কোনওভাবে অস্ত্রের নাগাল না পায়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে তদন্তকারীরা। কিন্তু এত কিছুর পরে যদি অপরাধীরা পালানোর চেষ্টা করে? সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, কোনও অপরাধী পালানোর চেষ্টা করলে, প্রথম তাকে সতর্ক করতে হবে। প্রয়োজনে শূন্যে গুলিও চালাতে পারেন পুলিশকর্মীরা। তাতে যদি কাজ না হয়, সেক্ষেত্রে অপরাধীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো যাবে। তবে এনকাউন্টার করা যাবে না। কোমরের নিচে বা পায়ে গুলি চালিয়ে ঘায়েল করতে হবে অপরাধীকে। 

 

 

Share this article
click me!

Latest Videos

Kolaghat-এ Mamata Banerjee-কে তীব্র আক্রমণ Suvendu Adhikari-র! দেখুন কী বললেন শুভেন্দু
নয়া মোড় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়! পার্থ-অর্পিতাদের বিরুদ্ধে শুরু হলো চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া!
কীভাবে তৃণমূল ভোটে জিতেছে মানুষ এবার বুঝতে পারছে, জঙ্গি যোগ নিয়ে রাজ্য সরকারকে ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু
যাকে পায় তাকেই গুঁতাতে যায়, ভোলার তান্ডবে নাজেহাল চুঁচুড়ার মল্লিক কাশেম হাট | Hooghly News
Dilip Ghosh: কীভাবে দেশ রক্ষা পাবে ধর্ম রক্ষা পাবে? ভরা সভায় উপায় বলে দিলেন দিলীপ ঘোষ