
উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের চাঞ্চল্যকর ঘটনায!, ৬ বছরের এক শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক তান্ত্রিককে মোহনলালগঞ্জ গ্রামের লোকজন বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মাইকুলল রাওয়াত শুক্রবার দুপুরে গ্রামের ধানক্ষেতে পরিদর্শনে যান। ক্ষেতে কাজ করা এক মহিলা তার ৬ বছরের মেয়েকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তান্ত্রিককে অনুরোধ করেন।
এরপরেই অভিযুক্ত রাওয়াত মেয়েটিকে খাবার দিয়ে প্রলুব্ধ করে গ্রামের বাইরের তার কুঁড়েঘরে নিয়ে যান। সেখানে তান্ত্রিক শিশুটিকে যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ।
এরপর শিশুটি চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলে তান্ত্রিক পালিয়ে যায়। এরপর মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে মাঠে পৌঁছে তার বাবা-মাকে সম্পূর্ণ ঘটনাটি জানায়। এরপরে অভিযুক্তের ঘরে গিয়ে তাকে খুঁজে পায়নি শিশুটির পরিবার।
ঘটনাটি জানার পর, গ্রামবাসীরা রাওয়াতের খোঁজ শুরু করে এবং শীঘ্রই তাকে ধরে ফেলে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা জঘন্য অপরাধের জন্য তান্ত্রিককে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাওয়াতকে আটক করে।
গ্রামবাসীরা অভিযুক্তকে মারধর করার একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও ক্ষোভ ছড়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে, রাওয়াতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অতীতেও তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ, একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে রাওয়াত বিশ বছর আগে সুদৌলিতে তার নিজের গুরুকে হত্যার জন্য জেল খেটেছেন। অভিযোগ রয়েছে যে অভিযুক্ত ভূত-প্রেত তাড়ানোর বাহানায় অনেক মহিলাকেই যৌন নির্যাতন করেছে।