শ্রীনগরে প্রবেশের সব রাস্তায় স্থায়ী নাকা পয়েন্ট করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। অন্যান্য সন্ত্রাস-বিধ্বস্ত জেলাগুলিতেও একই ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইব্রিড জঙ্গিদের হাতে টার্গেট কিলিং বন্ধ করতে, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ একটি নতুন পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এ জন্য পুলিশ নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (SoP) এবং এরিয়েল ডমিনেশন প্ল্যান (ADP) বাস্তবায়ন করেছে। এই নতুন পরিকল্পনার উদ্দেশ্য কাশ্মীর পণ্ডিত এবং অ-স্থানীয়দের টার্গেট কিলিং থেকে বাঁচানো এবং হাইব্রিড সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা। নতুন এসওপি এবং এডিপির অধীনে, এখন নিরাপত্তা সংস্থাগুলি শুধুমাত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্যের জন্য অপেক্ষা করবে না, তার বদলে জওয়ানরা শ্রীনগর এবং সন্ত্রাস প্রভাবিত এলাকায় রাস্তায় টহল দেবে, সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিয়োজিত হাইব্রিড জঙ্গিদের খুঁজে বের করবে। এতেই একমাত্র টার্গেট কিলিং বন্ধ করা যেতে পারে ও জঙ্গিদের ব্যর্থ করা যেতে পারে।
এছাড়াও জানা গিয়েছে শ্রীনগরে প্রবেশের সব রাস্তায় স্থায়ী নাকা পয়েন্ট করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। অন্যান্য সন্ত্রাস-বিধ্বস্ত জেলাগুলিতেও একই ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীকে সারপ্রাইজ নাকা, তল্লাশি অভিযান এবং CASO অভিযান চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কৌশলগত নাকা বাদে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর জওয়ানরাও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। এখন যেকোনো সন্ত্রাসী ঘটনার জন্য সব সংস্থার যৌথ জবাবদিহি ও দায়িত্ব থাকবে।
এই নতুন এসওপি আসার পরে, এটি এখন পাকিস্তানের এই নতুন কৌশলকে পরাস্ত করতে সহায়তা করবে। এই নতুন কৌশলের উদ্দেশ্য হল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মন থেকে টার্গেট কিলিং এর ভয় দূর করা এবং তাদের কাশ্মীরে নিরাপদ বোধ করা। এদিকে, কাশ্মীরে হিন্দু হত্যা জারি থাকবে। এমন ভয়ঙ্কর হুমকির কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করলো লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ। ঘটণার কথা প্রকাশ্যে আসতেই উপত্যকার হিন্দুরা যারপরনায় ভীত। বিগত তিন দশক আগে যে নিপীড়ন শুরু হয়েছিল যা জারি থাকবে এখনও। কাশ্মীরের হিন্দুদের এমন খোলাখুলি হুমকি দেওয়ার পরও এখনও পর্যন্ত কোনো তৎপরতা নেওয়া হয়নি প্রশাসন কর্তৃক।
টিআরএফ ইতিমধ্যেই জারি করেছে কাশ্মীরি হিন্দুদের একটি তালিকা। তাদের দাবি কাশ্মীরে হিন্দুরা কাশ্মীরের জমি ও চাকরি কেড়ে নিচ্ছে উপত্যাকার মূল অধিবাসীদের থেকে তাই এমন প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি জারি করলো টিআরএফ কাশ্মীরি হিন্দুদের বিরুদ্ধে। সংগঠন কর্তৃক এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে দিল্লি কাশ্মীর এবং কাশ্মীরিদের উপর ফ্যাসিবাদী হিন্দুত্ব এজেন্ডা চাপিয়ে দিচ্ছে এটি তারা কিছুতেই হতে দেবে না। তাই এই কট্টর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই তারা কাশ্মীরে হিন্দু হত্যা জারি রাখবে। এতে উপত্যাকার পরিবেশ নষ্ট হলেও তারা তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন।