'স্যার বিয়ে আটকে রয়েছে- দয়া করে পাশ করিয়ে দিন', বোর্ড পরীক্ষার খাতায় এমনই অবাক করা পাশের আর্জি

ছাত্রীতো লিখেই দিয়েছে, স্যার বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করতে পারছে না বলে আটকে রয়েছে তার বিয়ে। এবার যদি বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তার বিয়ে হয়ে যাবে। স্বামীর সঙ্গে অন্যত্র কাজে যেতে পারবে বলেও জানিয়েছে। 

উত্তর প্রদেশের বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন ২০২২  চলছে। কিন্তু সেখানে প্রশ্নের উত্তর লেখাতো দূরের কথা। শূন্য খাতায় কোথাও বাঁধা রয়েছে ৫০০ বা হাজার টাকার নোট। কোথাও আবার শুধুই কারত আর্জ। যা দেখে রীতিমত কালঘাম ছুটেছে পরীক্ষকদের। পরীক্ষার খাতা দেখে শিক্ষকরা তাদের অভিজ্ঞতার কিছু অংশ ভাগ করে নিয়েছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। 

ঘাম ছোটা অভিজ্ঞতা
এক ছাত্রী পরীক্ষায় খাতায় লিখেছে, স্যার সত্যি বলছি, তিনবার বিয়ে ভেঙে গেছে। এবার পাশ করিয়ে দিন। অনেক কষ্টে পাত্র জোগাড় করেছে আমার পরিবার। তবে বিয়ের আগে পাত্রপক্ষের একটাই শর্ত- উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করতে হবে। বিয়ে নিয়ে চিন্তিত বাবা-মা।  তারপরই ছাত্রীটি লিখেছে, দয়া করে যদি পাশ করিয়ে দেন তাহলে  বিয়েটা হয়ে যাবে। সারাজীবন মনে রাখব। 

Latest Videos


আর এক ছাত্রীতো লিখেই দিয়েছে, স্যার বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করতে পারছে না বলে আটকে রয়েছে তার বিয়ে। এবার যদি বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তার বিয়ে হয়ে যাবে। স্বামীর সঙ্গে অন্যত্র কাজে যেতে পারবে বলেও জানিয়েছে। 

এখানেই শেষ নয়, কোনও কোনয়ও ছাত্র আবার পরীভক্ষার খাতায় ১০০, ২০০, ৫০০ টাকা এমনকি হাজার টাকার নোটও আটকে দিয়েছে শুধুমাত্র পাশ করিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে। 

তবে এক শিক্ষক জানাচ্ছেন বিজ্ঞান খাতা দেখার সময় তাঁর চোখ কপালে উঠেছিল। এক ছাত্র লিখেছে, তার জীবনের কথা অত্যান্ত দুঃখের। সে নাকি নিজে  পোলিও আক্রান্ত। তার বাবা অসুস্থ। শুধুমাত্র বাবা ও মায়ের মান রাখার জন্যই পরীক্ষায় বসেছে। দয়া করে তাকে যদি পাশ করিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সে সংসারের হাল আরও ভালো করে ধরতে পারবে। 

হোম-সায়েন্স পরীক্ষার খাতায় এক ছাত্রী লিখেছে, শ্বশুরবাড়িতে তার ওপর অত্যাচার করা হয় সে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেনি বলে, তাই এবার সে সম্মান বাঁচাতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছে। তাই তার পাশ করা অত্যান্ত জরুরি। শ্বশুর বাড়ির লোক তাকে আরও পড়াতে চায় বলেও জানিয়েছে। তাই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 
 
শিক্ষকদের করণীয়
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের খাতা দেখার সময় এজাতীয় তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়ে হয় শিক্ষক বা পরীক্ষাকদের। কিন্তু তাঁদেরও হাত পা বাঁধা থাকে। নিয়মবহির্ভূতভাবে তারাও কোনও পরীক্ষার্থীকে নম্বর দিতে পারে না। কারণ সেই খাতা যখন রিচেকিং হয় তখন শিক্ষকদের ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পরীক্ষার্থীরা যে প্রশ্নের যেমন উত্তর লেখে তেমনই নম্বর দেওয়া হয় তাদের। জানিয়েছেন এক বোর্ড পরীক্ষক। 

এপ্রিলের তাপমাত্রার রেকর্ড ১২২ বছরকে ছাড়িয়ে গেল, মে মাসে আরও গরম পড়ার পূর্বাভাস

মুসলিমরা পাণীয়তে বান্ধ্যত্বকরণের ওষুধ মেশাচ্ছে, সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের অভিযোগে গ্রেফতার পিসি জর্জ

রিয়েল লাইফেও অবাক করলেন অ্যাঞ্জোলিনা জোলি, যুদ্ধের ইউক্রেনে গিয়ে কথা বললেন শরণার্থীদের সঙ্গে

Share this article
click me!

Latest Videos

‘সবরমতি রিপোর্ট’ দেখলেন বিজেপির হেভিওয়েটরা! দেখুন কী বার্তা দিলেন সিনেমার ব্যপারে | Sabarmati Report
বাগদায় ফের চলল বুলডোজার! হাইকোর্টের নির্দেশে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ৬টি দোকান | Bagdah News
নার্স হেনস্থার ঘটনায় বড় পদক্ষেপ! হাসপাতাল চত্বরে কড়া সিসিটিভি নজরদারি | Birbhum News Today
ভাটপাড়ায় প্রোমোটারের 'দাদাগিরি', আতঙ্কে জমির মালিক, কি বলছে পুরসভা! দেখুন | Bhatpara News
গোটা ভারতবর্ষে কে রোহিঙ্গাদের সাপ্লাই দিচ্ছে! শুভেন্দুর উত্তরে চমকে উঠবেন | Suvendu Adhikari