দেশের জন্য লড়াই করতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন স্বামী, স্ত্রীকে ডেপুটি কালেক্টর নিয়োগ করল তেলেঙ্গানা সরকার

  • কথা রাখল তেলেঙ্গানা সরকার
  • শহিদ কর্নেল সন্তোষ বাবুর স্ত্রীকে সরকারি চাকরি
  • ডেপুটি কালেক্টরের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল
  • গালওয়ানে চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষে শহিদ হন কর্নেল

Asianet News Bangla | Published : Jul 23, 2020 7:30 AM IST / Updated: Jul 23 2020, 01:07 PM IST

গত ১৫ জুন  পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডার বি সন্তোষ বাবু। কর্নেলের শহিদ হওয়ার খবর পাওয়ার পর তাঁর পরিবারের জন্য ৫কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিল তেলেঙ্গানা সরকার। পাশাপাশি সন্তোষ বাবুর স্ত্রী সন্তোষী বাবুকে সরকারি চাকরি ও জমির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও। সেই প্রতিশ্রুতি পালন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার শহিদ কর্নেলের স্ত্রীকে  রাজ্য প্রশাসনের বড় পদে চাকরি দিলেন চন্দ্রশেখর রাও। সন্তোষ বাবুর স্ত্রী সন্তোষীকে ডেপুটি কালেক্টর পদে নিযুক্ত করলেন তিনি। তাঁকে সূর্যপেট জেলায় পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে।

 

বুধবার একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সন্তোষী বাবুর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন কে চন্দ্রশেখর রাও। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। এই অনুষ্ঠানেই হায়দরাবাদের বাঞ্জারা হিলস এলাকার ৭১১ বর্গগজ  একটি জমির কাগজপত্রও সন্তোষী বাবুর হাতে তুলে দেন কালেক্টর শ্বেতা মোহান্তি। এই জমিতে চাইলে তিনি বাড়ি করতে পারবেন। কিংবা সেই জমিকে অন্য কাজেও ব্যবহার করতে পারেন।

মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও তাঁর সচিব স্মিতা সবরওয়ালকে ডেপুটি কালেক্টর পদের জন্য সন্তোষীকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন। সন্তোষীর সঙ্গে আসা পরিবারের ২০ জন সদস্যের সঙ্গে দুপুরের খাবারও একসঙ্গে খেয়েছেন তিনি। পরিবারকে আশ্বস্ত করেছেন যে সরকার সর্বদা পাশে থাকবে। নিজের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সন্তোষী বাবুর একটি আট বছরের মেয়ে ও চার বছরের ছেলে রয়েছে। তাই তাঁর নিয়োগ হায়দরাবাদ ও তার আশেপাশের এলাকাতেই হবে। 

আরও পড়ুন: রেডারের আওতার বাইরে থেকে চিনের উপর নজর, সেনার হাতে ডিআরডিও তুলে দিল অত্যাধুনিক 'ভারত'

কর্নেল সন্তোষ বাবু শহিদ হওয়ার পরে পরেই হায়দরাবাদ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে সূর্যপেট শহরে তাঁর বাড়ি যান মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। সেখানে পরিবারের হাতে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দেন তিনি। তখন রাজ্য সরকারে গ্রুপ ১ সার্ভিস অফিসারের চাকরি দেওয়া হয় তাঁকে। তার একমাসের মধ্যে এবার ডেপুটি কালেক্টরের পদে নিয়োগ করা হল সন্তোষী বাবুকে।

আরও পড়ুন:ইন্ডিয়া আইডিয়াস সামিটে চিনের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন পম্পেও, আত্মনির্ভর ভারতে বিনিয়োগের ডাক মোদীর

কর্নেল সন্তোষ বাবু ১৬ বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি শহিদ হন। তিনি ২০০৪ সালে কমিশন লাভ করেন। তাঁর প্রথম পোস্টিং ছিল জম্মু ও কাশ্মীরে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি প্রথম থেকেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে আগ্রহী ছিলেন। কর্নেল সন্তোষ বাবুর বাবা বি উপেন্দ্র একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী।

Share this article
click me!