রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার মামলা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল সারা দেশ। বিজেপি নেতাদের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিল বিরোধী দলগুলি। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আবহে সেই মামলাই বন্ধ করে দিল পুলিশ।
রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার মামলা বন্ধ করে দিল তেলঙ্গানা পুলিশ। হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষকের আত্মহত্যার ঘটনায় প্রাক্তন উপাচার্য ও বিজেপি নেতাদের ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে। তেলঙ্গানা পুলিশের পক্ষ থেকে ক্লোজার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আত্মহত্যা করেন রোহিত। পুলিশের তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, নিজের জাত সংক্রান্ত আসল পরিচয় ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়েই নিজের জীবন শেষ করে দেন রোহিত। তিনি তপশিলি জাতির না হওয়া সত্ত্বেও সেই পরিচয় দিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বন্দারু দত্তাত্রেয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণবিদ্বেষ, মৌলবাদ ও জাতীয়তা-বিরোধী রাজনীতি চলছে। এরপরেই রোহিত আত্মহত্যা করায় বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তবে শেষপর্যন্ত এই অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ জোগাড় করতে পারল না পুলিশ।
লোকসভা নির্বাচনের আবহে স্বস্তি বিজেপি-র
চলতি লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ২ দফার ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। এখনও ৫ দফার ভোটগ্রহণ বাকি। এই পরিস্থিতিতে তেলঙ্গানা পুলিশের রিপোর্ট গেরুয়া শিবিরকে বড় স্বস্তি দিল। হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য আপ্পা রাও, সেকেন্দরাবাদের তৎকালীন সাংসদ দত্তাত্রেয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, তেলঙ্গানার বিধান পরিষদের প্রাক্তন সদস্য এন রামাচন্দর ও অখিল ভারত বিদ্যার্থী পরিষদের নেতাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল, তা থেকে তাঁদের রেহাই দেওয়া হয়েছে।
'দলিত ছিলেন না রোহিত'
তেলঙ্গানা পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘রোহিত ভেমুলা জানতেন, তিনি তপশিলি জাতির ছিলেন না। তাঁর মা তপশিলি জাতি শংসাপত্র জোগাড় করে দেন। এই কারণে তিনি সবসময় ভয়ে থাকতেন। তিনি জানতেন, জাল শংসাপত্রের কথা ফাঁস হয়ে গেলে যাবতীয় ডিগ্রি হারাতে হবে। শাস্তির মুখেও পড়তে হবে তাঁকে। এই কারণেই হয়তো তিনি আত্মহত্যা করেন। তাঁকে কেউ আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন, এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
"বিজেপির অনুরাগীরা দিশাহীন ভিক্ষুক"! কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে ঝড় সামাজিক মাধ্যমে
বড় খবর! লোকসভা ভোটের মাঝেই নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনী ব্যবস্থা? কী হতে চলেছে