সূত্র জানায়, সাংবাদিক ও অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর নির্ধারণ করা হবে। এর জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে এই দিকে কাজ করা হবে।
শনিবার রাতে প্রয়াগরাজে গুলিবিদ্ধ হয় আতিক আহমেদ ও আশরাফ। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের তিন আসামিই মিডিয়ার ভুয়ো আইডি, ক্যামেরা ও মাইক নিয়ে এসেছিলেন। মিডিয়ার পরিচয়ের অপব্যবহারের কারণে এখন সক্রিয় হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশনায়, সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য এসওপি তৈরি করবে। সূত্র জানায়, খুব দ্রুত সাংবাদিকদের জন্য এসওপি ঠিক করার প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র জানায়, সাংবাদিক ও অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) নির্ধারণ করা হবে। এর জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে এই দিকে কাজ করা হবে। আতিক আহমেদকে হত্যার পর হামলাকারীরা আতিক ও আশরাফকে গুলি করে ভুয়ো মিডিয়া আইডি ব্যবহার করায় এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
হামলাকারীরা সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগ দেয়
আতিক আহমেদকে গুলি করে হত্যাকারীরা বলেছে, 'আতেক ও আশরাফকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসার খবর পেয়ে আমরা স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলাম কারণ আমরা দুজনকেই হত্যা করতে চাইছিলাম।' হামলাকারীরা আরো জানিয়েছে, অপরাধ জগতে তারা বড় নাম করতে চেয়েছিল, সে কারণেই তারা আতিক আহমেদকে হত্যা করেছে।
জেনে রাখা ভালো যে এই হামলাকারীদের কাছ থেকে মাইক আইডি, পেশাদার ক্যামেরা এবং এনসিআর নিউজ নামে ভুয়ো চ্যানেলের আইডি কার্ডও পাওয়া গেছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি ও পুলিশের নিরাপত্তার মধ্যে এমন হামলার পর নানা প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি গণমাধ্যমের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে।
সিল করা হয়েছে প্রয়াগরাজ জেলার সীমান্ত
ইতিমধ্যেই প্রয়াগরাজ জেলার সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি আরএএফকেও ডাকা হয়েছে। এই ঘটনার কিছুদিন আগে, উমেশ পাল হত্যা মামলার তদন্তকারী ও ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ধুমনগঞ্জ রাজেশ কুমার মৌর্য আতিক ও তার ভাই আশরাফকে কাসারী মাসারি এলাকায় নিয়ে যান, যেখানে আতিক তাদের ঝোপের মধ্যে তৈরি একটি জরাজীর্ণ বাড়ি দেখায়। সেখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত পাঁচটি কার্তুজের গায়ে পাকিস্তান অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (পিওএফ) লেখা ছিল।
মন্দিরে আতিককে গুলি করা হয়
আতিক আরও জানান, তার নির্দেশেই অস্ত্র ও কার্তুজগুলো লুকিয়ে রেখেছিল অপারেটররা। প্রায় ১০ লাখ টাকায় একটি কোল্ড পিস্তল কিনেছিলেন তিনি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি কোল্ড পিস্তলের খোসাও উদ্ধার করেছে। রাত সাড়ে ১০টায় এখান থেকে আতিক ও আশরাফকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ক্যালভিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিন যুবক আতিককে তার মন্দিরে গুলি করে। আশরাফকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিও করা হয়।