আতিক আহমেদ খুনের সঙ্গে গভীর যোগ পাকিস্তানের ? চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ

পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী লাভলেশ তিওয়ারি বান্দার বাসিন্দা, আর অরুণ মৌর্য হামিরপুর ও সানি কাসগঞ্জের বাসিন্দা। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, তিন খুনির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ফৌজদারি মামলা রয়েছে।

Web Desk - ANB | Published : Apr 16, 2023 9:27 AM IST

মাফিয়া আতিক আহমেদ ও আশরাফ হত্যাকাণ্ডে নতুন তথ্য এসেছে। হত্যাকারীদের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করা পিস্তলটি তুরস্কের তৈরি। এই পিস্তল ভারতে নিষিদ্ধ। এই পিস্তল দিয়ে খুন হয়েছেন পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালাও। এমন পরিস্থিতিতে আসুন জেনে নেওয়া যাক এই পিস্তলের বিশেষত্ব কী? এতকিছুর পরেও এই পিস্তল খুনিদের কাছে পৌঁছল কী করে?

আতিক-আশরাফকে যারা হত্যা করেছে তারা দুষ্কৃতী

তিন খুনিকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আতিক ও আশরাফকে হত্যাকারী আততায়ীর নাম লাভলেশ তিওয়ারি, শনি এবং অরুণ মৌর্য। তিনজন বাইক আরোহীই মিডিয়া কর্মীদের ছদ্মবেশে এসেছিলেন। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, তিন হামলাকারীই বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছিল। তিনজনই প্রয়াগরাজের একটি হোটেলে রুম নিয়ে ৪৮ ঘণ্টা ছিলেন।

পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী লাভলেশ তিওয়ারি বান্দার বাসিন্দা, আর অরুণ মৌর্য হামিরপুর ও সানি কাসগঞ্জের বাসিন্দা। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, তিন খুনির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ফৌজদারি মামলা রয়েছে। জানা গেছে, শ্যুটার অরুণের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একটি হত্যা মামলা রয়েছে। দ্বিতীয় খুনি সানির বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা চলছে। ইতিমধ্যে লাভলেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

হামলাকারীরা যে বাইক থেকে আতিক ও আশরাফকে হত্যা করতে এসেছিল তাও প্রকাশ পেয়েছে। জানা গেছে, UP70M7337 নম্বরের এই বাইকটি সরদার আব্দুল মান্নান খানের নামে নিবন্ধিত। এই নম্বরটি Hero Honda-এর পুরনো গাড়ি CD-100ss বাইকে রেজিস্ট্রার্ড। যা নগদ টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ৩ জুলাই। বাইকটি কোথা থেকে আনা হয়েছে এবং কারা খুনিদের দিয়েছে তাও তদন্ত চলছে।

সূত্রের খবর, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই বড় মাফিয়া হতে চায় বলে জানিয়েছে। সে কারণেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত সানি সিং ইতিমধ্যেই জেলে গিয়েছে এবং জেলেই তিনি ভাটি গ্যাংয়ের প্রধান সুন্দর ভাটির বিশেষ কাছের হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে সুন্দর ভাটির হয়ে কাজ করার অভিযোগও রয়েছে।

আসামিদের কাছে এই পিস্তল কোথা থেকে এল?

আতিক ও আশরাফ হত্যায় জিগানার তৈরি পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছে। তুরস্কে তৈরি এই পিস্তল আসে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকায়। ভারতে এটি নিষিদ্ধ, তাই অন্য দেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে আনা হয়। বলা হয়, এই পিস্তলে একবারে ১৭টি গুলি লোড করা হয়। আতিক আহমেদ হত্যাকাণ্ডেও দেখা গেছে একসঙ্গে অনেকগুলো গুলি চালানো হয়েছে। বলা হচ্ছে এটি সেই একই মডেলের পিস্তল যা সিধু মুসেওয়ালা হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছিল।

এই পিস্তলের বিশেষত্ব কী?

তুরস্কে তৈরি জিগানা মেড পিস্তল মালয়েশিয়ান আর্মি, আজারবাইজান আর্মি, ফিলিপাইন আর্মিও ব্যবহার করে।

এই পিস্তলটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং একসাথে একাধিক রাউন্ড গুলি করা যায়।

এটি পাকিস্তানের মাধ্যমে ভারতে অবৈধভাবে সরবরাহ করা হয়। বলা হয়, ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে ভারতে সরবরাহ করা হয়।

Share this article
click me!