স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে সন্তান জন্ম দিলেও দায়িত্ব নিতে হবে স্বামীকেই জানাল সুপ্রিম কোর্ট

Published : Feb 03, 2025, 09:48 AM IST
supreme court on triple talaq

সংক্ষিপ্ত

আদালতের বক্তব্য,একজন বিবাহিত মহিলার যদি অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক থাকে এবং সেই সম্পর্কের ফলে সন্তানের জন্ম হয়, তবুও স্বামীই হবেন সেই সন্তানের আইনগত পিতা। আদালত  জানিয়েছে,.ডিএনএ পরীক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হতে পারে, তবে এটিই একমাত্র প্রমাণ নয়।

স্ত্রী যদি অন্য কোন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে সন্তানের জন্ম দেয় তবে সেই সন্তানের বৈধ পিতা কে? কাকে নিতে হবে ওই সন্তানের দায়িত্ব? এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট দিল এক ঐতিহাসিক রায়। আদালত জানায়, স্ত্রী পরকীয়ায় সন্তানের জন্ম হলে তার দায়িত্ব নিতে হবে স্বামীকেই। যা বিবাহিত মহিলাদের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানের পিতৃত্বের অধিকার নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে। এই রায় অনুযায়ী, যদি কোনও বিবাহিত স্ত্রী পরকীয়া করে সন্তান জন্ম দেন, তবুও সেই সন্তানের আইনগত পিতা হবেন তাঁর স্বামী।

আদালতের বক্তব্য,একজন বিবাহিত মহিলার যদি অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক থাকে এবং সেই সম্পর্কের ফলে সন্তানের জন্ম হয়, তবুও স্বামীই হবেন সেই সন্তানের আইনগত পিতা। এক্ষেত্রে আদালত এও জানিয়েছে.ডিএনএ পরীক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হতে পারে, তবে এটিই একমাত্র প্রমাণ নয়। আইনগত বৈধতা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বামীকেই পিতার মর্যাদা দেওয়া হবে।

কেরালার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সূত্রপাত। ২০০১ সালে জন্ম হয় মিলান জোসেফের। সেই সময় তাঁর মা অন্য ব্যাক্তির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। পরবর্তীতেতাঁদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায় । ২০০৭ সালে মিলান জোসেফের মা কোচিন পুরসভায় গিয়ে মিলানের পিতার নাম পরিবর্তনের আবেদন জানান। মহিলা এ বিষয়ে আরও বলেন, ইভান রথিনাম আসলে মিলানের জন্মদাতা পিতা (বায়োলজিক্যাল ফাদার)। কিন্তু পুরসভার তরফে জানানো হয়, আদালতের নির্দেশ ছাড়া পিতার নাম পরিবর্তন সম্ভব নয়।পরবর্তীতে ওই মহিলা ফার্স্ট অ্যাডিশনাল মুন্সিফ কোর্টে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন। মহিলা আদালতে আবেদন জানায়, যেন রথিনামকে মিলান জোসেফের পিতা বলে ঘোষণা করেন এবং জোসেফকে নিজের পরিচয় দেওয়া হোক। এমনকি ক্রিমিনাল প্রোসিডিউর কোড ১৯৭৩এর ১২৫ নম্বর ধারা অনুসারে রথিনামের থেকে খোরপোষ দাবি করেন।আদালত ২০০৯ সালে মহিলার সেই দাবি শুনে জানায়, যেহেতু সন্তানের জন্মের সময় তিনি অন্য কারও সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন, সেই কারণে মিলন জোসেফের বৈধ পিতা হলেন সেই ব্যক্তি। পরবর্তীতে সাব-জজ কোর্ট এবং ২০১১ সালে কেরালা হাই কোর্ট এই একই রায় বহাল রেখে দেয়।

মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট অবধি। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে, একজন সন্তানের জন্মদাতা পিতা থাকতেই পারে, তবে আইন স্বামীকেই বৈধ পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। শুধুমাত্র ডিএনএ প্রমাণই বৈধতার আইনি নিয়মকে অগ্রাহ্য করতে পারে না। আদালত আরও জানায় যে, কোনও সন্তানের জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে অকারণে যাতে কোনও অনুসন্ধান বা প্রশ্ন না ওঠে তাই এই নির্দেশ। কোনও স্বামী যদি সেই সন্তানের দায়িত্ব নিতে বা নিজের পিতৃত্ব অস্বীকার করতে চান, তাহলে স্বামীকেই প্রমাণ করতে হবে তার সঙ্গে স্ত্রীর কোনও 'কন্টাক্ট' বা যোগাযোগ নেই।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

'হিন্দু রেট অফ গ্রোথ'! ভারতের ডিজিপি বাড়তেই হিন্দুদের অপমান নিয়ে সরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশনে পেনশন ও ডিএ নিয়ে নতুন মোড়! এক কোটি পরিবারকে স্বস্তি দিয়ে সরকার দিল বড় আপডেট