
স্বামীকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে লোন রিকভারি এজেন্টকে বিয়ে করে নিল স্ত্রী। সোস্যাল মিডিয়ায় এখন এই দুজনের বিয়ের ভিডিয়ো তুমুল ভাইরাল। স্ত্রীর যুক্তি, স্বামী মারধোর করতেন তাই শান্তি পেতে এই যুবককের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন। তাদের বিয়ে নিয়ে এখন চর্চায় মজে নেটদুনিয়ার মানুষজন।জানা যায়, গত মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারি হিন্দু রীতি মেনে জামুই মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের ত্রিপুরা সিং নদীর ঘাটে অবস্থিত বাবা ভুতেশ্বর নাথ মন্দিরে গিয়ে সিঁদূর পরিয়ে মহিলাকে বিয়ে করেন এই লোন রিকভারি এজেন্ট।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের জামুই জেলায়। জানা যায়, ওই বিবাহিত যুবতীর বাড়িতে আসতেন পেশায় লোন রিকভারি এজেন্ট পবন কুমার । বাকি থাকা ঋণের টাকা আদায়ের জন্যই জামুইয়ের জাজাল গ্রামের বাসিন্দা উপেন্দ্র যাদব নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আসতেন পবন। এই যাতায়াতের সূত্রেই পরিচয় হয় উপেন্দ্রর স্ত্রী ইন্দিরা কুমারীর সঙ্গে। প্রথমে শুধুমাত্র কথা চললেও একসময় দুজনের দুজনকে ভাল লেগে যায়। ঋণ আদায়ের অছিলায় বারবার ওই লোন রিকভারি এজেন্ট পবন উপেন্দ্র যাদবের বাড়িতে যেতেন। এভাবেই সখ্যতা বাড়ে। ফোন নম্বর আদান-প্রদানের পর সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। প্রায় ৫ মাস ধরে গোপনে দেখা করতেন তারা । এরপর দুজনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। আর পিছু না তাকিয়ে স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে মন্দিরে গিয়ে সাত পাক ঘুরে বিয়ে করলেন দুজনে।
সংবাদ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে বিয়ে হয়েছিল ইন্দ্রাকুমারীর। জানা গিয়েছে তার স্বামী একজন মদ্যপ এবং স্ত্রীর উপরে অত্যাচার করতেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, আগের সংসার জীবনে একটুও শান্তি ছিলনা, স্বামীর হাতে মার খেতে হত। তাই একটু শান্তি পেতে তিনি ফের পবনকে বিয়ে করছেন।তাদের বিয়ের ভিডিয়ো এখন ভাইরাল নেটদুনিয়ায় । অনেকেই যুবতীর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও একশ্রেণীর মানুষ অবশ্য এই ঘটনাকে বাঁকা চোখে দেখছেন। তবে বেশিরভাগ মানুষের মত, জীবনে শান্তির জন্য ফের বিয়ে করে ভালো থাকলে সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত বিষয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।