পুলিশ বলেছে, "অভিযুক্ত সাদুদ্দিন মালিকের গ্রেপ্তারের ধারাবাহিকতায়, জুবিলি হিলস পুলিশ আজ দুই 'চাইল্ড ইন কনফ্লিক্ট ইন ল'-কে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের হেফাজতের জন্য জুভেনাইল কোর্টে পেশ করা হচ্ছে।"
হায়দরাবাদের নাবালিকা ধর্ষণ মামলায়, পুলিশ চৌঠা জুন শনিবার তৃতীয় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার একজন অভিযুক্ত সাদুদ্দিন মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ। তারা হল সাদুদ্দিন মালিক এবং ওমর খান। বাকি তিনজন নাবালক।
পুলিশ বলেছে, "অভিযুক্ত সাদুদ্দিন মালিকের গ্রেপ্তারের ধারাবাহিকতায়, জুবিলি হিলস পুলিশ আজ দুই 'চাইল্ড ইন কনফ্লিক্ট ইন ল'-কে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের হেফাজতের জন্য জুভেনাইল কোর্টে পেশ করা হচ্ছে।"
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে, পুলিশের উপ-কমিশনার বলেন, "এখন পর্যন্ত পাঁচ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন নাবালক, এখন পর্যন্ত একজন অভিযুক্ত এবং দুজন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে যারা পলাতক।"
কী ঘটেছিল
পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে মেয়েটি কয়েক জন কিশোরের সঙ্গে বিকেল ৫টা বা ৬টা নাগাদ রাস্তা দিয়ে হাটছে। তারা বেশ কিছুক্ষণ আড্ডাও দেয়। মেয়েটি তার বয়ফ্রেন্ডকে জড়িয়ে ধরেছে- এমন ফুটেজও হাতে এসেছে পুলিশের। তারপর বাকিরা চলে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি এক বন্ধুর সঙ্গে পার্টিতে গিয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে সে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যায়। তারপর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করে। পাব ছাড়ার পর এই কিশোর ও কিশারীরা একটি পেস্ট্রির দোকানেও গিয়েছিল। তারপর সন্ধ্যে জুবিলি হিলসের মত অভিজাত এলাকায় নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
মেয়েটি প্রথম বাড়ি ফিরে কিছুই জানায়নি। কিন্তু ঘাড়ে রীতিমত আঘাত পেয়েছিল। তার বাবা ঘাড়ের আঘাত সম্পর্কে জানতে চাইলে কিশোরী নির্যাতন সম্পর্কে জানায়। বাবার অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রথম মামলা দায়ের হয়। পরে তা ধর্ষণের মামলায় রূপান্তরিত হয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপির অভিযোগ
ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা রঘুনন্দন রাও অভিযোগ করেছেন যে পুলিশ তাড়াহুড়ো করে কাজ করেছে এবং কেটিআর-এর টুইটের পরে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) বিধায়কের ছেলেকে ক্লিন চিট দিয়েছে।
তিনি বলেছিলেন যে যদি সিবিআই তদন্ত না হয় তবে মামলার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ন্যায়বিচার জরুরি। তাই একজন বর্তমান বিচারকের অধীনে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া উচিত। রাও বলেছিলেন যে পুলিশ ক্লিন চিট দেওয়ায় তিনি প্রমাণ প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে বিধায়কের ছেলের জড়িত থাকার প্রমাণ করার ভিডিও গ্রাফিক প্রমাণ তার কাছে রয়েছে।