অমরজিত সাদা- এই নামটা ছিল বিহারের ত্রাস। ৮ বছর বয়েসেই ৩ জনের খুন! পুলিশের রেকর্ডে সে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও কনিষ্ঠ সিরিয়াল কিলার। শিশুদের ভগবানের রূপ মনে করা হলেও বিহারের মুঙ্গেরে বসবাসকারী অমরজিৎ সাদা সিরিয়াল কিলারের চেয়ে কম ছিল না।
বয়স ৮ বছর। সদ্য কিশোর অমরজিত সাদা। আপাতদৃষ্টিতে আর পাঁচটা স্কুলপড়ুয়া বাচ্চার সঙ্গে কোনও পার্থক্য ছিল না তার। কিন্তু যে পার্থক্যটা ছিল, তা কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা বিহারকে। অমরজিত সাদা সিরিয়াল কিলার ছিল। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। ৮ বছর বয়েসি ছেলেটি নৃশংসভাবে খুন করেছিল ৩-৩ জনকে। রক্তে রাঙা হাত নিয়েও এতটুকু টলে যানি সে। পুলিশের সামনে অকুতোভয় বলেছিল 'খুনের সময় কষ্ট পেতে দেখতে মজা লাগত'।
অমরজিত সাদা- এই নামটা ছিল বিহারের ত্রাস। ৮ বছর বয়েসেই ৩ জনের খুন! পুলিশের রেকর্ডে সে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও কনিষ্ঠ সিরিয়াল কিলার। শিশুদের ভগবানের রূপ মনে করা হলেও বিহারের মুঙ্গেরে বসবাসকারী অমরজিৎ সাদা সিরিয়াল কিলারের চেয়ে কম ছিল না। মাত্র ৮ বছর বয়সে অমরজিৎ সাদা তিনটি শিশুকে হত্যা করেছিল। হত্যার পদ্ধতি এমন ছিল যে সবার আত্মা কেঁপে ওঠে।
অমরজিৎ সাদা যে তিনজনকে খুন করেছিল, তাদের মধ্যে দুজন ছিল তার আত্মীয়। একজনের বয়স ৬ বছর এবং অন্যটি তার নিজের ৮ মাস বয়সী বোন। এ ছাড়া প্রতিবেশীর ৬ মাস বয়সী মেয়েকেও হত্যা করেছে সে। খুশবু তার কনিষ্ঠ শিকার হয়। খুশবুকে পাথর দিয়ে পিষে হত্যা করে সে।
খুন করার সময় মজা পেতাম!
মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনটি খুন করা অমরজিৎ সাদাকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন পুলিশ তার দেওয়া তথ্যে অবাক হয়ে যায়। সে যখন তিনজনকে হত্যা করেছিলেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৭ বছর। ২০০৬ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে তিনটি খুনই অমরজিৎ সাদা করেছিল। খুব অল্প বয়সে তিনটি খুনের কারণে অমরজিৎ সাদার নাম বিশ্বের কনিষ্ঠতম সিরিয়াল কিলারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং সে আজও বেঁচে আছে।
অমরজিৎ সাদা সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই
দেশের আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সী অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া যায় না। তাদের শুধু সংশোধনাগারে রাখা হয়। অমরজিৎ সাদাকে ২০০৭ সালে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাকে সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য শিশু সংস্কার হোমে রাখা যেতে পারে। সে কখন সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে এবং বর্তমানে সে কোথায় আছে তা কেউ জানে না। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের মতে, তাকে হত্যার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলেছিল যে তার রক্ত দেখতে ভালো লাগে। খুন করার সময় মেয়েরা যখন চিৎকার করত, তখন তার খুব ভালো লাগত, তাই সে খুন করত।