সিএএ বিক্ষোভের মধ্যেই মোদীর সভা, সিসিটিভি থেকে স্নাইপার-এ নজিরবিহীন নিরাপত্তা

  • নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দিল্লিতে আগুন জ্বলছে
  • রবিবার তারমধ্য়েই রামলীলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রীর সভা
  • সভা ঘিরে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা
  • এমনটা জঙ্গি হামলার হুমকি ছাড়া দেখা যায় না

 

amartya lahiri | Published : Dec 22, 2019 3:45 AM IST

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দিল্লি জুড়ে আগুন জ্বলছে। তারমধ্য়েই রবিবার, অন্যতম উত্তপ্ত এলাকা পুরাতন দিল্লির দরিয়াগঞ্জ থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে রামলীলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সভা করতে চলেছেন। দিল্লির বেশ কিছু অবৈধ কলোনীর বাসিন্দাদের হাতে আবাসনের দলিল তুলে দেওয়া হবে। আর সেই সভা ঘিরে রামলীলা ময়দান ও প্রধানমন্ত্রীর আসার পথে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনও জঙ্গি হামলার হুমকি ছাড়া যেরকমটা দেখা যায় না।

শনিবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত রামলীলা ময়দানেই উর্ধ্বতন পুলিশ কর্তারা সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে, অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে গুজব ছড়ানো বন্ধে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে নজরদারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে যে সমস্ত পোস্ট করা হচ্ছে, তার সবগুলিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও দুষ্কৃতী যাতে রাজধানীতে প্রবেশ না করতে পারে সেজন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রতিটি গাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। রবিবার অনুষ্ঠান চলাকালীন রামলীলা ময়দানগামী সমস্ত রাস্তায় সিসিটিভি ক্য়ামেরার নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন জায়গায় সুউচ্চ ভবনের উপরে স্নাইপাররাও থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দিল্লি পুলিশ-এর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষার দায়িত্বে তাকা এসপিজি এবং ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। দিল্লি বিজেপি-ও সমাবেশের সুরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসাবে স্বেচ্ছাসেবীদের মোতায়েন করেছে।

বিসিষ্ট বিজেপি নেতা বিজয় গোয়েল বলেছেন, ১৭৩১ টি অননুমোদিত কলোনির ৪০ লক্ষ বাসিন্দাকে বাড়ির মালিকানা দেওয়া হচ্ছে। এরজন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ দিতে টান। তার জন্যই এই সমাবেশের আয়োজন। এইসব কলোনির বাসিন্দাদের ১১ লক্ষ জনের স্বাক্ষর করা ধন্যবাদপত্র তুলে দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। সমাবেশে দুই লক্ষেরও বেশি লোক উপস্থিত থাকবেন বলে বিজেপির আশা।
রামলীলা ময়দানের চারপাশের বড় এলাকা জুড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কার্যনির্বাহী সভাপতি জে পি নাড্ডার কাটআউট বসানো হয়েছে। এই সমাবেশ থেকেই বিজেপির আসন্ন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অননুমোদিত কলোনির এই বাসিন্দাদের ভোট আসন্ন নির্বাচনে বড় ভূমিকা নেবে বলে মনে করছে বিজেপি।

 

Share this article
click me!