সর্বভারতীয় একটি ইংরেজি দৈনিকের সাংবাদিককে আটক করে হেনস্থার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে। ওমর রশিদ নামে ওই সাংবাদিকের অভিযোগ, আটক করার পর তাঁর 'দাড়ি টেনে ছিঁড়ে দেওয়ার' হুমকি দেন এক অফিসার। শুধু তাই নয়, তিনি কাশ্মীরি হওয়ায় বিক্ষোভকারীদের আশ্রয় দিয়েছেন বলেও পুলিশ তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করে মারধরের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই সাংবাদিক। শেষ পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের হস্তক্ষেপের পর ওই সাংবাদিককে ছাড়া হয়। পুলিশের অবশ্য যুক্তি, বিভ্রান্তির কারণেই ওই সাংবাদিককে আটক করা হয়েছিল।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে লখনৌ- সহ গোটা উত্তরপ্রদেশ। লখনৌতে সেরকমই একটি বিক্ষোভ চলাকালীন ওমরকে আটক করা হয় বলে অভিযোগ। অথচ সেখানে পেশাগত প্রয়োজনেই গিয়েছিলেন ওই সাংবাদিক। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে ওমর দাবি করেছেন, তাঁকে আটক করার সময় তিনি তাঁর পরিচয় পুলিশকে জানান। পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে নিজের কাছে থাকা পরিচয়পত্রও পুলিশকে দেখান তিনি। ওমরের প্রশ্ন, এর পরেও পুলিশ কীভাবে বিভ্রান্তির অজুহাতে তাঁকে আটক করল?
ওমরের দাবি, তাঁকে আটক করার সময় একজন কনস্টেবল ছিল যিনি তাঁর পরিচয় জানতেন। তরুণ ওই সাংবাদিকের অভিযোগ, কাশ্মীরি হওয়ায় আটক করার পর থেকেই বার বার সেই প্রসঙ্গ তুলে তাঁকে হেনস্থা ও অপমান করা হয়। তিনি কাশ্নীরি হওয়ায় কাশ্মীরের বিক্ষোভকারীদের তিনি আশ্রয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলে তাঁদের সন্ধান দেওয়ার জন্য তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। তখনই এক পুলিশ অফিসার মুখ না খুললে তাঁর দাড়ি ছিড়ে মারধরের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেছেন ওমর। কদর্য ভাষায় তাঁকে গালিগালাজ করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
নিজের এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন ওই তরুণ সাংবাদিক। সাংবাদিক থেকে শুরু করে রাজনীতিক, প্রত্য়েকেই পুলিশের এই আচরণের নিন্দায় সরব হয়েছেন। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর টুইট করে বলেন, 'এটাই যদি বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে পুলিশের কাজ করার ধরন হয় তাহলে ওই রাজ্যকে ভারতীয় গণতন্ত্রের বাইরে ধরে নিতে হয়।'