দীপাবলির দিন ঘরের ছেলে ঘরে ফেরে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো এটাই হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। কিন্তু কর্তব্যের খাতিরে তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারেন না। তাঁর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন না। এই দুঃখটা অনেকটা কম হয়ে যায়, ঠিক যখন প্রধানমন্ত্রী নিজেকে সেনাদের পরিবারের সদস্য বলেন। সীমান্তে যেভাবে সেনারা দিনের পর দিন নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দেশের সেবা করছেন, তার ভূয়শী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
দীপাবলির দিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ উপলক্ষে সেনাদের একটা জমায়েত হয়। সেখানে গিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'মানুষ পরিবারের সঙ্গে দীপবলি কাটাবেন এটাই ভারতের রীতি। আমিও ঠিক করেছি, পরিবারের সঙ্গে দীবাবলি উদযাপন করব। তাই আমি এখানে এসেছি, আপনাদের সঙ্গেই দীপাবলি উদযাপন করব। আপনারাই আমার পরিবার।' এরপরেই তিনি মন্তব্য করেন, একজন সাধারণ মানুষ সবার প্রথম তাঁর নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করেন। কিন্তু একজন সেনার প্রথম চিন্তা থাকে ভারত মায়ের, দেশের ১৩০ কোটি জনগণের। তিনি বলেন, দেশের একজন নিরাপত্তা রক্ষী সবার শেষে নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করেন। তিনি মন্তব্য করেন, ' আপনাদের জীবনে দেশে ও দেশের নিরাপত্তা প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব। কিন্তু উৎসবের সময় দেশের সেবা করার ফাঁকেও মন চলে যায় পরিবারের কাছে। পরিবারও আপনাদের কাছে পেতে চায়। কিন্তু তারপরেও আপনাদের সীমান্তে নিরাপত্তা দিতে হয়। যাতে দেশের মানুষ নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।'
এদিন সেনাবাহিনীর পোশাক পরে প্রধানমন্ত্রী যেন বার বার বোঝাতে চান, আমি তোমাদের লোক, আমি তোমাদের পরিবারের সদস্য়। দীবলির দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত, উত্তরের সেনা কামান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিং সেনাদের দীবাবলির শুভেচ্ছা জানান এবং মিষ্টি পরিবেশন করেন।