করোনা ভাইরাসের হানা ভারতে, জোর ধাক্কা পর্যটন শিল্পে

Published : Jan 31, 2020, 11:52 AM IST
করোনা ভাইরাসের হানা ভারতে, জোর ধাক্কা পর্যটন শিল্পে

সংক্ষিপ্ত

করোনা ভাইরাসের জেরে এবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পর্যটন শিল্প চিনের পর্যটকরা ভারত সফর বাতিল করেছে যার ফলে পর্যটন ব্যবস্থাও জোর ধাক্কা খেয়েছে অতীতেও সার্সের মতো মারণ ভাইরাসের কারণে বড় ধাক্কা খেয়েছিল পর্যটন শিল্প

করোনা ভাইরাসের  নামটা শুনলেই প্রত্যেকেই যেন আতঙ্কিত। যত দিন যাচ্ছে মহামারির আকার ধারণ করছে এই রোগ। যার জেরে জেরবার প্রশাসন।  করোনা আতঙ্কে ইতিমধ্যেই ভয়ে কাঁপছে চিন।  শুধু চিন নয়, চিনের পাশাপাশি ভারত সহ  দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মুহূর্তের মধ্যে প্রবেশ করছে এই ভাইরাস।  একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস।  মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গেই ছড়িয়ে যাচ্ছে এই রোগের জীবানু। কোনওভাবেই আটকানো যাচ্ছে না এই ভাইরাসকে। নোবেলা করোনা প্রকৃতির এই করোনা ভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি আসলে ফ্ল্যাবিও ভাইরাস, যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে।  হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। আর এই কারণেই চিন্তা বাড়ছে চিনা প্রশাসনের। সার্সের মতোই ভয়ঙ্কর এই ভাইরাস । এর আগে অতীতেও সার্সের মতো মারণ ভাইরাসের কারণে বড় ধাক্কা খেয়েছিল পর্যটন শিল্প।

আরও পড়ুন-হোমিওপ্যাথিতেই আটকানো যেতে পারে করোনা ভাইরাস, নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রীয় আয়ুর্বেদ মন্ত্রকের...

সার্সের পর করোনা ভাইরাসের জেরে এবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পর্যটন শিল্প। এই ভাইরাসের জেরে সারা বিশ্বব্যাপী জারি হয়েছে সতর্কতা। তেমনি ভ্রমণের ক্ষেত্রে নানান সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারতীয় পর্যটন সংস্থাগুলিও সমস্যায় পড়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এই করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসের কারণে দুরকম সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমত, চিনের পর্যটকরা ভারত সফর বাতিল করেছে। কারণ বেজিং , নাগরিকদের বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। যার ফলে ব্যবসা হারাচ্ছে পর্যটন সংস্থাগুলি। এই সময় চিনা নববর্ষের ছুটি কাটাতে যেহেতু চিনা পর্যটকেরা ভারত সহ দেশের নান প্রান্তে বেড়াতে যান এবছর সমস্ত ট্যুর বাতিল করা হয়েছে। তেমনই ভারতীয় পর্যটকেরা চিন সহ দেশের নান প্রান্তের যাওয়া ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে।

 

শুধু চিন নয়, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, তাইল্যান্ডের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গন্তব্য সফরও বাতিল করা হচ্ছে। পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য থাইল্যান্ড। সেখানেও অনেকের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস। যার ফলে পর্যটন ব্যবস্থাও জোর ধাক্কা খেয়েছে। আর এই করোনা আতঙ্কে বেঙ্গালুরু-হংকং রুটের উড়ান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইন্ডিগো। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই রুটে সমস্ত উড়ান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি  পর্যন্ত ইন্ডিগোর  উড়ান পরিষেবা বন্ধ থাকবে। আগামীকাল থেকেই দিল্লি এবং সাংহাই রুটে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্টায়ত্ত বিমান সংস্থা। কলকাতা ও চিনের গুয়াংঝুর মধ্যে আপাতত উড়ান পরিষেবা বন্ধ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিগো। এই উড়ানের কোনও কর্মী চিনে থাকবেন না বলে জানিয়েছেন, ফিরতি বিমানেই তার দেশে ফিরে আসবেন। তবে পরিস্থিতির উপর সর্বক্ষণ নজরদারি রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। আরও ৬০০০ মানুষের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস।  এই রোগের সমাধান কবে বা কীসে মিলবে এই নিয়ে চিন্তিত চিন প্রশাসন। সংক্রমন এড়াতে সব রকমের তৎপরতা জারি হয়েছে।  অধিকাংশ বিমানেই গরম খাবার,কম্বল  দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে।  ব্যক্তির স্পর্শ থেকে যেভাবে রোগ ছড়াচ্ছে  তা আটকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

PREV
click me!

Recommended Stories

এনডিএ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কেন সম্মান? শীতকালীন অধিবেশনের ৭ম দিনে কী হবে?
8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশনে বেতন বৃদ্ধি নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য? কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা খুঁজছে উত্তর