সাউথ এশিয়া টেরোরিজম পোর্টালের তথ্যসূত্র অনুযায়ী এই বছর মোট ৩৯টি মাও-হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ৩৯টি ঘটনায় অন্তত ১৯জন অসামরিক নাগরিক, ৭ জন নিরাপত্তা-কর্মী ও ৪১ জন মাও জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। ইউপিএ -২ সরকারের আমলের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে বর্তমান সরকারের সময়ে গত দুই বছরে মাও হামলায় নিরাপত্তা কর্মীদের প্রাণহানির ঘটনা অনেকটাই কমেছে। অসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনাও কমেছে, তবে তা নগন্য।
১১ এপ্রিল ছিল প্রথম দফার লোকসভা ভোট। তার মাত্র ২দিন আগেই ছত্তিশগড়ের কুয়ান্কোটা ও শ্যামগিরির মাঝের এক এলাকায় মাওবাদীদের শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে বিজেপি বিধায়ক ভীমা মান্ডভির। এই নিয়ে এই বছর মাও-সংক্রান্ত ৩৯টি ঘটনা ঘটল। তবে দিল্লির এক ওপেন ডাটাবেস তথ্য অনুযায়ী বিজেপি সরকারের আমলে কিন্তু মাওবাদী-সংক্রান্ত হিংসার ঘটনা অনেকটাই কমেছে।
সাউথ এশিয়া টেরোরিজম পোর্টালের তথ্যসূত্র অনুযায়ী এই ৩৯টি ঘটনায় অন্তত ১৯জন অসামরিক নাগরিক, ৭ জন নিরাপত্তা-কর্মী ও ৪১ জন মাও জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। ইউপিএ -২ সরকারের আমলের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে বর্তমান সরকারের সময়ে গত দুই বছরে মাও হামলায় নিরাপত্তা কর্মীদের প্রাণহানির ঘটনা অনেকটাই কমেছে। অসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনাও কমেছে, তবে তা নগন্য।
২০১৪ সালে মোদী সরকার আসার আগে ১৮৫টি মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ২০১৫-তে যা নেমে আসে ১৭০-এ। কিন্তু, তারপরের বছরগুলিতে ফের মাও হামলার ঘটনা বেড়েছে।
২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোদী সরকারের আমল মোট মাও হামলার ঘটনা ঘটেছে ৯৪৫টি। প্রাণ হারিয়েছেন ৪৮৯ জন অসামরিক নাগরিক, ৩১২ জন নিরাপত্তা কর্মী ও ৮২১ জন জঙ্গি।
অপর দিকে, এনডিএ - ২ সরকারের সময় মোট ১২৯২টি মাও হামলার ঘটনায় প্রাণ হানি হয়েছিল ১২৭২ জন নাগরিক, ৬৬০ জন নিরাপত্তা-কর্মী ও ৮০০ জন জঙ্গির।