Manik Saha: স্বপ্নের উত্থান মানিক সাহার, মাত্র ১০ মাসে ত্রিপুরা বিজেপির পটপরিবর্তন করেন তিনি

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন মানিক সাহা। তেমনই ইঙ্গিত বিজেপির অন্দরে। কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।

 

Web Desk - ANB | Published : Mar 2, 2023 10:55 AM IST

কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পরই স্বপ্নের উত্থান মানিক সাহার। তিনি সম্ভবত ত্রিপুরার দ্বিতীয় মেয়াদে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। যদিও ভোটের আগে বিজেপি রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা রাজ্য রাজনীতিতে 'মিস্টার ক্লিন' হিসেবে পরিচিত মানিক সাহার ওপরই দল আস্থা রাখবে। মানিক সাহা বরদোয়ালি কেন্দ্র থেকে ১ হাজার ২৫৭ ভোটে জয়ী হয়েছেন। তিনি হারিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী আশিস কুমার সাহাকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন আশিস।

পরবর্তীকালে আশিস বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে নাম লেখান। তিনি পদত্যাগও করেন। অন্যদিকে আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়ে বিপ্লব দেবকে। সেই সময়ই বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সামনে আনে মানিক সাহাকে। ৬৯ বছরের মানিক সাহা পেশায় ডেন্টাল সার্জেন। ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগদান করেন। গত বছর তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি। উপনির্বাচনে তিনি সেই সময়ই হারিয়েছিলেন আশিস কুমার সাহাকে।

যদিও মানিক সাহার নেতৃত্ব নেই দলের অন্দরে মতপার্থক্য ছিল। সূত্রের খবর অনেক বিজেপি নেতাই মানিক সাহার ওপর আস্থা রাখতে পারেননি। অনেকেই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের ওপর আস্থা রেখেছিলেন। কিন্তু ত্রিপুরার রাজনীতিতে রীতিমত মিস্টার ক্লিন হিসেবেই নিজের ভাবমূর্তি তৈরি করেছিলেন মানিক সাহা। ২০২০ সালে বিজেপির ত্রিপুরা ইউনিটের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি। গত বছর স্বল্প সময়ের জন্য রাজ্যসভার সদস্য হিসেবেও কাজ করেছিলিন তিনি।

গ্রিনহর্ন রাজনীতিবিদ মানিক সাহা। অতীতে কংগ্রেসের অনুগত ছিলেন। কিন্তু গত ৬ বছর বিজপিতে যোগ দানের পর স্বপ্নের মতই তাঁর উত্থান হয়। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্টার ও শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০২২ সালে উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরই তাঁর রাজনৈতিক জীবনের মোড় ঘুরে যায়।

বিপ্লব 'যুগে'র অবসানের পর মানিক সাহা ত্রিপুরার রাজনীতি বোঝার জন্য মাত্র ১০ মাস সময় পেয়েছিলেন। এই স্বল্প সময়েই তিনি সরকার স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তি তুলে ধরতে সক্ষম হন। কারণ ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলের দাবি বিপ্লব সরকারকে সরিয়ে দেওয়ার অন্যতম কারণ ছিল দুর্নীতি ও তাঁর ভাবমূর্তি। যা ক্ষতি করছিল জলের।

ত্রিপুরারয় জন্ম মানিক সাহায ১৯৭০ সালে ত্রিপুরায় পড়াশুনা। তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য বিহার উত্তর প্রদেশে চলে যেতে হয়। তবে এখনও পর্যন্ত তিনি ডাক্তারি করেছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া একটি ছবি শেয়ার করে তিনি জানিয়েছিলেন ১০ বছর বয়সী একটি ছেলের অস্ত্রোপচার করেছিলেন। ডাক্তার হিসেবে এখনও দায়িত্ব পালেনর জন্য নেটিজেনটা তাঁর প্রশংসাও করেন। তবে মানিক সাহা জানিয়েছেন তিনি ত্রিপুরার সেবা করার জন্য অল্প সময় পেয়েছেন। কিন্তু তিনি দেখেছেন ত্রিপুরার মানুষ তাঁর ওপর আস্থা রেখেছে। তিনি বলেছিলেন তিনি যেখানেই গেছেন সেখানেই মানুষ তাঁকে গ্রহণ করেছে। তিনি আরও বলেছেন রাজ্য ও কেন্দ্রের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এটা সম্ভব হয়েছে। যদিও বিজেপির অন্দরে মানিক সাহাকে নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে।

Share this article
click me!