হাথরাস মামলায় ধর্ষণের ঘটনাটি ২০২০ সালে প্রতিবাদ এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়। পরিবারের অনুমতি ছাড়াই হাসপাতাল থেকে ওই নির্যাতিতার মরদেহ কর্তৃপক্ষ তুলে নিয়ে যাওয়ার পর বিতর্ক রাজনৈতিক মোড় নেয়।
বৃহস্পতিবার এসসি/এসটি আদালত হাথরস ধর্ষণ-খুন মামলায় তিনজনকে খালাস এবং অন্যজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। চার অভিযুক্তের মধ্যে, সন্দীপ (২০), রবি (৩৫), লভ কুশ (২৩), এবং রামু (২৬) ছিল। এর মধ্য রবি, লব কুশ ও রামুকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে এবং আদালত সন্দীপকে অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে, পশ্চিম উত্তর প্রদেশের হাতরাস জেলার বুলগড়িতে একটি দলিত মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছিল এবং গুরুতরভাবে আহত করা হয়েছিল। এ মামলায় একই গ্রামের চার যুবককে আসামি করা হয়। দিল্লির একটি হাসপাতালে ১৫ দিনের যুদ্ধের পর মেয়েটি মারা যান। মেয়েটির পরিবার বলেছে যে তারা আদালতের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নয় এবং বলেছে যে তারা মামলাটি উচ্চ আদালতে আপিল করবে।
মূল অভিযুক্ত সন্দীপকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় (অপরাধমূলক হত্যা) দোষী সাব্যস্ত করেছে। তফসিলি জাতি, উপজাতি আইনেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সন্দীপের সাজার শুনানি হবে হাথরস জেলা আদালতে।
হাতরাস ধর্ষণ মামলা
হাথরাস মামলায় ধর্ষণের ঘটনাটি ২০২০ সালে প্রতিবাদ এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়। পরিবারের অনুমতি ছাড়াই হাসপাতাল থেকে ওই নির্যাতিতার মরদেহ কর্তৃপক্ষ তুলে নিয়ে যাওয়ার পর বিতর্ক রাজনৈতিক মোড় নেয়। এমনকি তারা তার পরিবারকে তার শেষকৃত্য সম্পাদন করতে দেয়নি এবং মধ্যরাতে তা করেছিল পরিবারের অনুমতি ছাড়াই। ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৯ বছরের দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত হয়েছিলেন চার উচ্চবর্ণের যুবক। ১৫ দিন পর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল তরুণীর। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছিল, তরুণী ধর্ষণে বাধা দিলে তাঁর গলা টিপে খুনের চেষ্টা করেছিলেন চার অভিযুক্ত। যন্ত্রণায় নিজের জিভেই কামড় বসিয়েছিলেন নির্যাতিতা। জিভে গুরুতর ক্ষত তৈরি হয়েছিল।
হাথরাসের তরুণীর দেহ নিয়ে মধ্যরাতে অন্ত্যেষ্টির ঘটনা ঘিরে যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধে। দাবি করা হয় , এলাকার ঠাকুর সম্প্রদায়কে আড়াল করতে চাইছে প্রশাসন। কারণ ধর্ষণে অভিযোগ ঠাকুর সম্প্রদায়ের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ছিল। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডের পর হাথরাসের ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। অসুস্থ অবস্থাতে তরুণীর মেডিক্যাল রিপোর্টে উঠে আসে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য।