ত্রিপুরার পুর নির্বাচনে (Tripura Municipal Elections 2021) ভোটের দিনও বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। কেন্দ্রকে অবিলম্বে আরও দুই কোম্পানি অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনী (Paramilitary Fore) মোতায়েন করতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)।
ত্রিপুরার পুর নির্বাচনে (Tripura Municipal Elections 2021) অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটদান নিশ্চিত করতে, কেন্দ্রকে অবিলম্বে আরও দুই কোম্পানি অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনী (Paramilitary Fore) মোতায়েন করতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ত্রিপুরায় চলছে পুর নির্বাচনের ভোটগ্রহন। ভোটের আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), শাসক দল বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ করে আসছে। ভোটের দিনও সকাল থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া, এজেন্টদের মারধর করার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। আদালতের নির্দেশে কার্যত তাদের দাবিই মান্যতা পেল।
তীব্র রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগের মধ্যেই, বৃহস্পতিবার চলছে ত্রিপুরার ১৪ টি পৌরসভার নির্বাচন। আর সকাল থেকেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। ত্রিপুরা তৃণমূল (Tripura TMC) বলেছে, রাজধানী আগরতলার (Agartala) ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের দলীয় কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরীও (Jiten Choudhury) অভিযোগ করেছেন, শাসক দল দক্ষিণ ত্রিপুরা (Dakshin Tripura) জেলায় ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে এবং দলীয় কর্মীদের ভোটের কাজে বাধা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন - Tripura Municipal Polls: ভোট দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের পত্নী নিতী দেব
তবে আগরতলা বা রাজ্যের কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। শাসক দল বিজেপিও বিরোধীদের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যের (Navendu Bhattacharya) দাবি, 'উৎসবের মেজাজে ভোট হচ্ছে'। ভোটের আগের কয়েকটা দিনে অবশ্য ত্রিপুরায় কোথাও উৎসবের মেজাজ দেখা যায়নি। দেখা গিয়েছে হিংসা, গ্রেফতারি, সুদূর দিল্লিতে তৃণমূলের অবস্থান-বৈঠক এবং শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ। ত্রিপুরার মতো ছোট রাজ্যের পৌরসভার ভোট - সেটিও রাজনৈতিক উত্তাপে সর্বভারতীয় ঘটনায় পরিণত হয়েছে৷
ত্রিপুরায় এবার নির্বাচনী লড়াই ত্রিমুখী। উত্তর-পূর্ব ভারত এবং দেশের অন্যত্র প্রভাব বিস্তার করে এখন নিজেদের একটি জাতীয় দল হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। ক্ষমতাসীন বিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছে তারা। অন্যদিকে মাত্র কয়েক বছর আগে রাজ্যের ক্ষমতা হারানো সিপিআইএম, এই পুরভোটকে ধরে ফের ভেসে ওঠার চেষ্টা করছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি, এই নাগরিক নির্বাচনে সমস্ত আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। আগরতলা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (Agartala Municipal Corporation)-সহ মোট ৩৩৪ টি আসনের মধ্যে ১১২ টিতেই তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। তারপর বাকি আসনগুলিতে লড়াই হবে বলে আশা করছে দুই বিরোধী পক্ষ৷